বদলার বৃত্ত সম্পূর্ণ করে ব্রাউন ওয়াশের ইতিহাস ধোনিদের
ফিরোজ শাহ কোটলার বুকে নয়া ইতিহাস কায়েম করল ধোনির ভারত। সিরিজতো আগেই পকেটে চলে এসেছিল। সাঙ্গ হল হোয়াইট ওয়াশের পালা। অসি গরিমার গগনচুম্বী প্রাসাদটায় ফাটল ধরেছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার সামনে ধূলিসাৎ হয়ে গেলো সেই প্রাসাদের শেষ ইঁটটাও। একক আধিপত্য বজায় রেখে ৪-০-এ সিরিজ জিতে নিল ভারত। ভারতীয় ক্রিকেটের ৮১ বছরের ইতিহাসে ভারত কখনও কোনও সিরিজে টানা চারটে টেস্ট জেতেনি৷ আগের সেরা পারফরম্যান্স ১৯৬৭ -৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ -১৷১৯৯২ -৯৩ -তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ -০৷ ১৯৯৩ -৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ -০৷
অস্ট্রেলিয়া-- ২৬২, ১৬৪।। ভারত-- ২৭২, ১৫৮/৪।।
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচের সেরা--রবীন্দ্র জাদেজা সিরিজ সেরা--রবিচন্দ্রন অশ্বিন
ফিরোজ শাহ কোটলার বুকে নয়া ইতিহাস কায়েম করল ধোনির ভারত। সিরিজ তো আগেই পকেটে চলে এসেছিল। সাঙ্গ হল হোয়াইট ওয়াশের পালা। অসি গরিমার গগণচুম্বী প্রাসাদটায় ফাটল ধরেছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার সামনে ধূলিসাৎ হয়ে গেলো সেই প্রাসাদের শেষ ইঁটটাও। একক আধিপত্য বজায় রেখে ৪-০-এ সিরিজ জিতে নিল ভারত। ভারতীয় ক্রিকেটের ৮১ বছরের ইতিহাসে ভারত কখনও কোনও সিরিজে টানা চারটে টেস্ট জেতেনি৷ আগের সেরা পারফরম্যান্স ১৯৬৭ -৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ -১৷ ১৯৯২ -৯৩ -তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ -০৷ ১৯৯৩ -৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ -০৷
ফিরোজ শাহ কোটলায় তিন দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ধোনিরা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন পাতা লিখে ফেললেন। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধোনিদের ০-৪ সিরিজ হেরে ফিরতে হয়েছিল, তারই যোগ্য জবাব দেওয়া গেল। বদলার বৃত্ত আঁকার সঙ্গে সঙ্গে হল ইতিহাসও
রবিবার কোটলা ছিল নাটকীয়তা ভরা আর টানটান উত্তেজনায় মোড়া। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৭২ রান। মানে গতকালের রানের থেকে মাত্র ৬ রান যোগ করতে পারেন ভারতীয় টেলএন্ডাররা। অসি স্পিনার নাথন লিঁয় নিলেন ৭ উইকেটে। সিরিজের একেবারে শেষবেলায় লিঁয় জ্বলে উঠলেন। কে জানে আগে জ্বলে উঠলে হয়ত সিরিজে অসিদের এতটা অপদস্থ হতে হত না। সিরিজে ভারতের সেরা বোলার জাদেজা নিলেন পাঁচ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোটলার পিচের ভূত তাড়া করল অসিদের। কোটলার পিচে বল কখনও লাফিয়ে, কখনও গড়িয়ে যাচ্ছিল। তারওপর আবার ভারতের বোলিং আক্রমণে আছেন ওঝা, অশ্বিন, জাদেজারা। এই তিন স্পিনারের বোলিংয়ের সামনে অসিদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৬৪ রানে।
জিততে হলে ভারতকে করতে হত ১৫৫ রান। কোটলার পিচের যা অবস্থা ছিল তাতে বিশ্বের যে কোনও সাধারণ উইকেটে এই স্কোরটা অন্তত দ্বিগুন হয়ে গেছিল। ওপেন করতে নেমে শুরুতে মুরলী বিজয়ের উইকেট হারলেও কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে পূজারা সহজেই দলকে য়ের দোরগড়ায় চলে যান। কিন্তু এমন একটা ইতিহাস গড়ার ম্যাচটা ম্যাড়মেডে় হতে দিল না অস্ট্রেলিয়া। ভারত যখন জিতব জিতব করছে তখনই সচিন (১) আর রাহানে (১) পরপর ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে কিছুটা জান এনে দিয়েছিলেন লিঁয় আর ম্যাক্সওয়েল। তবে ইতিহাস গড়তে এতেও অসুবিধা হল না। পূজারার অপরাজিত ৮২ রানে ভর করে কোটলায় জয়ের দরজা খুলে ফেলল ভারত। তবে উইনিং স্ট্রোকটা মারলেন ধোনি। লিঁয়র বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়া থেকে মাথা নীচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন ধোনি। আজ ধোনি হেসে ক্লার্ককে বলতেই পারেন, দেখলে তো এক মাঘে শীত যায় না। ক্লার্ক অবশ্য এখনও ওসব শুনতে পাবেন না। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জার সিরিজ হার উপহার দিয়ে ক্লার্ককে এখন বধির না হয়ে উপায় নেই। এই তো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। অসি সংবাদমাধ্যম দাঁত নখ বের করে ক্লার্ককে আক্রমণ করছে। ধোনি হয়ত ভাবছেন, আরে এক বছর আগে আমরাও তো এই অবস্থাই ছিল!