প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট থেকে বিদায় লক্ষ্মীর

শেষ পর্যন্ত মাঝ মরশুমেই প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বাংলার জার্সি গায়ে আর খেলতে দেখা যাবে না বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে। দীর্ঘ আঠেরো বছরের বেশি সময় ধরে বাংলায় হয়ে খেলার পর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন লক্ষ্মী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এই অলরাউন্ডার। তাও আবার সিএবিতে নয়, মোহনবাগান তাঁবুতে বসে। বিতর্ক দুরে সরিয়ে আবেগঘন পরিস্থিতিতে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা ঘোষণা করেন লক্ষ্মী। অবসরের সিদ্ধান্তের কথা আগেই তিনি সিএবির সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান বাংলার এই বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার।  

Updated By: Dec 30, 2015, 05:58 PM IST
 প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট থেকে বিদায় লক্ষ্মীর

ওয়েব ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত মাঝ মরশুমেই প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বাংলার জার্সি গায়ে আর খেলতে দেখা যাবে না বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে। দীর্ঘ আঠেরো বছরের বেশি সময় ধরে বাংলায় হয়ে খেলার পর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন লক্ষ্মী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এই অলরাউন্ডার। তাও আবার সিএবিতে নয়, মোহনবাগান তাঁবুতে বসে। বিতর্ক দুরে সরিয়ে আবেগঘন পরিস্থিতিতে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা ঘোষণা করেন লক্ষ্মী। অবসরের সিদ্ধান্তের কথা আগেই তিনি সিএবির সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান বাংলার এই বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার।  

বাংলা শিবিরে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে বিতর্ক বহুদিন আগে থেকেই। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির জন্য বাংলা দলের প্রস্তুতির প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান ক্রিকেটার। তবে অনুশীলনে কেন অনুপস্থিত লক্ষ্মী সেটা নাকি জানেই না বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট। কী কারণে লক্ষ্মী অনুশীলনে আসেননি তা না কি জানেনই না বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট। ফোনে লক্ষ্মীর কাছ থেকে জানা যায় তার জ্বর হয়েছে তাই অনুশীলনে যাননি। অথচ বাংলা কোচ সাইরাজ বাহুতুলেকে লক্ষ্মীর না আসার কারন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় বাংলার অন্যান্য ক্রিকেটাররাও। সিএবি সূত্রে জানা গেছে সিনিয়রদের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে ইদানিং লক্ষ্মীকে টার্গেট করা হচ্ছিল। এমনকী বিজয় হাজারের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য সিনিয়রদের উপর ক্ষুব্ধ সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিও। সোমবার মনোজ তেওয়ারি,লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের ডেকে তার ক্ষোভের কথা জানিয়েও দেন। সেই বৈঠকের পরই না কি কিছুটা মনক্ষুন্ন হন লক্ষ্মী। সিএবির একাংশের ধারনা দলে তাকে কোনঠাসা করা হচ্ছে বুঝেই অনুশীলনে যাননি লক্ষ্মী। এরপরই অবসরের সিদ্ধান্ত। তাহলে কি অভিমানেই অবসর?

 

.