গেইলদের ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে দর্শকাসনে হাজির মাত্র ৫৮ জন
---------------------------------------------------------------------------
ওয়েব ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমছে সেটা নতুন কোনও খবর নয়। নয়ের দশকের শুরু থেকে ক্যারেবিয়ান ক্রিকেটের অবক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গেই দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়ভাবে কমতে থাকে। ২০০০ সালের পর থেকে যে জনপ্রিয়তা কার্যত তলানীতে ঠেকে। বুধবার ভারতীয় সময় রাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে যেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হওয়া গ্রেনেডায় গেইলদের ম্যাচ দেখতে শুরুতে এলেন মাত্র ৫৮ জন। ক বছর ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেট মাঠে দর্শক হচ্ছে না, কিন্তু তা বলে এত কম সংখ্যাক দর্শকের উপস্থিতি ম্যাচ শুরু হওয়ার নজিরের কথা মনে করতে পারছেন না ক্যারিবিয়ান সাংবাদিকরা।
অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের সময় দর্শকসানে দেড় হাজার জনকে দেখতে পাওয়া গেল। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন 'ফ্রি টিকিটে' মাঠে ঢোকেন। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা বেশ খারাপ, কিন্তু ওয়ানডেতে স্যামিদের পারাফরম্যান্স একেবারে খারাপ নয়। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আছে গেইল, পোলার্ডের মত ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। এরপরেও দর্শক মাঠে আসছে না কেন।
আয়োজকরা বলছেন, বাংলাদেশের মত দেশের বিরুদ্ধে খেলা থাকায় সংখ্যাটা এত কম হল। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বলছেন, গত চার বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়বাবে কমে গিয়েছে। ক্রিকেটের থেকে অ্যাথলেটিক্সর, ফুটবলেই এখন আগ্রহ বেশি। তা ছাড়া সাত বা আটের দশকে মাঠে ঢুকে ক্যালিপসোর মেজাজে ক্রিকেট উপভোগ করাটা ক্যারিবিয়ানদের মতে হারিয়ে গিয়েছে।
গ্রেনাডায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশকে। আনামুল হকের দুরন্ত শতরানে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২১৭ রান। জবাবে একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৩৪ রানে ৫ উইকটে। কিন্তু দীনেশ রামদিনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে দারুণ জয় এনে দেন পোলার্ড। ম্যাচের সেরা পোলার্ড ৭০ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। রামদিন করেন ৭৪ রান। গেইল ৩ রানে আউট হয়ে যান।