মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, 'আফগান দৈত্য'কে সাহায্য করে মানবিকতার নজির গড়ল পুলিস
ফলে হন্যে হয়ে একখানা যুতসই হোটেল খুঁজছিলেন তিনি। একদিন, দুদিন..। হোটেল আর মিলল না। হতাশ হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৮ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা তাঁর। এমন দীর্ঘদেহী মানুষকে রাস্তায় দেখলেই ভিড় জমে যাচ্ছিল। নিজের দেশের ক্রিকেট সার্কিটে তিনি আফগান দৈত্য নামে পরিচিত। ক্রিকেটের প্রতি আগাধ ভালবাসা। জাতীয় দলের প্রতি প্রবল আনুগত্য। আর তাই সুদূর আফগানিস্তান থেকে ছুটে এসেছিলেন ভারতে। কিন্তু এসেই ঝামেলায় পড়লেন। আর যত সমস্যা তাঁর বিশালাকার চেহারা নিয়ে। তিনি এত বড় চেহারা নিয়ে যে কোনও হোটেলে থাকতে পারছিলেন না। যে হোটেলের ঘরেই যান, সিলিংয়ে মাথা ঠেকে যায়! আর যেসব হোটেলের ঘরের সিলিং উঁচু, সেখানে ভাড়া বেশি। তাঁর সাধ্যের বাইরে। ফলে হন্যে হয়ে একখানা যুতসই হোটেল খুঁজছিলেন তিনি। একদিন, দুদিন..। হোটেল আর মিলল না। হতাশ হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। কোথায় থাকবেন তার ঠিক নেই।
আরও পড়ুন- লাগামছাড়া দিল্লির দূষণ, অসুস্থ হয়ে বমি করেছিলেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার
নিরাপত্তার কারণে নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারে না আফগানিস্তান। তাদের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছিল বিসিসিআই। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে রশিদ খানের দেশ। বুধবার লখনৌতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শুরু করেছে আফগানিস্তান। আর খেলা দেখতে এদেশে এসেছেন আফগান দৈত্য হিসাবে পরিচিত শের খান। কিন্তু দীর্ঘকায় চেহারা নিয়ে পড়েছিলেন বিপদে। হোটেলের রুম না পেয়ে রাস্তায় ঘুরছিলেন তিনি। এমন একজন দীর্ঘকায় চেহারার মানুষকে দেখে নেতাহ কৌতুলহলবশতই কথা বলতে এগিয়ে আসেন লখনৌ পুলিসের কয়েকজন কর্মী। শের খানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সমস্যার কথা জানতে পারেন পুলিসকর্মীরা। তার পর তাঁরা শের খানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান। গোটা শহরে খোঁজাখুঁজি করে শেষে সেই পুলিসকর্মীরাই একটি হোটেলের রুম শের খানের জন্য ঠিক করে দেন। উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান তুলেছে মাত্র ১৯৪ রান। দুই উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৩০। ৩২.৪ ওভারে।