বধূ নির্যাতনের মামলায় মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত

আত্মসমর্পণের জন্য ১৫ দিন সময় দিল আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যারিবিয়ান সফর চলাকালীনই আবার বড়সড় ধাক্কা খেলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। সোমবার আলিপুরের (ACJM) অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা আদালতে বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বধু নির্যাতন মামলায় শামি ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন৷ তবে শামি এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকায় তাঁকে আদালতে আত্মসমপর্ণের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে আদালত৷ কিন্তু তাঁর ভাইয়ের ক্ষেত্রে সোমবার থেকেই গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে জানিয়েছেন হাসিন জাহানের আইনজীবী৷

২০১৮ সালে শুরুর দিক থেকে একের পর এক বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে মহম্মদ শামিকে।মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহাঁ তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন।এর মধ্যে রয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং, ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও। বিস্ফোরক অভিযোগের পর এবার আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটেন হাসিন জাহাঁ। শামিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় বিসিসিআই। তবে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টা-সহ অন্যান্য অভিযোগে লাগাতার তদন্ত চালায় কলকাতা পুলিস। শামি তাঁর দাদা হাসিব আহমেদকে দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করানোর চেষ্টাও চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন হাসিন। হাসিনের অভিযোগের ভিত্তিতে শামি-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিস। যদিও, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেন শামি।

এদিকে শামির বিরুদ্ধে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ এনে আলিপুর ACJM আদালতে মামলা করেন শামির স্ত্রী৷ এই মামলায় বেশ কয়েকবার শুনানিও হয়৷ কিন্তু শামিকে আদালতে উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও তিনি হাজিরা দেননি৷ ১৫ দিনের মধ্য মহম্মদ শামি আদালতে আত্মসমপর্ণ না করলে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করবে৷

সোমবার হাসিনের আইনজীবী অনির্বান গুহ ঠাকুরতা জানান, "হাসিন জাহাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে এখনও আত্মসমর্পণ করেননি মহম্মদ শামি এবং তাঁর দাদা হাসিব আহমেদ। অর্থাত্ আদালতের সামনে এসে হাজিরা দেননি। তাঁরা আদালতের নোটিসে রয়েছেন। শামি ক্রিকেট খেলার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। তাই ১৫ দিনের সময় পাচ্ছেন আত্মসমর্পণের। তবে শামির দাদার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।"