২৩ বছর পর শিল্ডের ফাইনালে মহমেডান

শিল্ড ফাইনালে চলে গেল মহমেডান। যুবভারতীতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতার ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ১-০ গোলে হারাল তারা। অতিরিক্ত সময়ে মহমেডানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন নাইজেরীয় মিডফিল্ডার ওরজি পেন।

Updated By: Feb 11, 2014, 10:12 PM IST

শিল্ড ফাইনালে চলে গেল মহমেডান। যুবভারতীতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতার ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ১-০ গোলে হারাল তারা। অতিরিক্ত সময়ে মহমেডানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন নাইজেরীয় মিডফিল্ডার ওরজি পেন।

২৩ বছর পর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছল মহমেডান। খেলার প্রথমার্ধে একচ্ছত্র দাপট দেখান জোসিমার-রা। ইউনাইটেডের বেলো রজ্জাক গোললাইন সেভ করে দলের পতন রক্ষা করেন। দ্বিতীয়ার্ধে র‍্যান্টির দুরন্ত ফ্রিকিক অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে বাজিমাত করে সাদা-কালো শিবির। গোল করে মহমেডানকে ফাইনালে পৌঁছে দেন নাইজেরীয় পেন।

শনিবার ফাইনালে বাংলাদেশের ধানমুন্ডির মুখোমুখি হবে মহমেডান। গ্রুপ লিগে বাংলাদেশের দলটিকে হারিয়েছিল তারা। তাই দেশের সম্মান আপাতত সঞ্জয় সেনের দলের হাতে। মহমেডানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও কোনও ম্যাচ হারেননি সঞ্জয় সেন।

এদিকে, কলকাতার হৃদয় একেবারে ছারখার করে দিল বাংলাদেশের ধানমুন্ডি ক্লাব। আইএফএ শিল্ড থেকে মোহনবাগানের পর এবার ইস্টবেঙ্গলকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিল ধানমুন্ডি ক্লাব। মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শিল্ডের সেমিফাইনালে ধানমুন্ডি ক্লাব ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল আর্মান্দো কোলাসোর দলকে।

আইএফএ শিল্ডে র প্রথম সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারাল বাংলাদেশের দলটি। প্রথমার্ধে ধানমুন্ডির হয়ে গোল করেন দুই বিদেশি এমেকা আর সোনি নর্দি। দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েডসনের গোল ধানমুন্ডির জয় নিশ্চিত করে দেয়।

করিমের দলকে শিল্ড থেকে ছিটকে দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিড্ডিদেরও বিদায় করে দিল বাংলাদেশের ধানমুন্ডি ক্লাব। যুবভারতীতে ৩-০ গোলে জিতে শিল্ড ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দলটি। ঘরের মাঠে সোনি নর্দি,এমেকাদের কাছে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হল আর্মান্দোর দলকে। একগুঁয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ ধানমুন্ডির বিরুদ্ধে অপরিবর্তিত দল মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ফলে ব্রাত্য ছিলেন খাবরা,মেহতাবের মত সিনিয়রা। ম্যাচের রাশ শুরু থেকেই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ধানমুন্ডি। ওপারাহীন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন মোহনবাগানের টার্গেটে থাকা সোনি । প্রথমার্ধে এমেকা আর সোনির গোলে এগিয়ে ছিল ধানমুন্ডি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে ফেরার একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ওয়েডসনের গোল শিল্ড থেকে ছিটকে দেয় আর্মান্দো কোলাসোর দলকে।

খেলার ইনজুরি টাইমে বিশ্রী ফাউল করে লালকার্ড দেখতে হয় ডিফেন্ডার অর্ণব মন্ডলকে। ফেডারেশন কাপের পর শিল্ডেও ব্যর্থ হল ইস্টবেঙ্গল। ঘরোয়া লিগ জয়ের পর জোড়া টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা গোয়ান কোচকে যে চাপে ফেলে দিল তা বলাই বাহুল্য। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে আই লিগের শেষ পর্ব। অল্প সময়ের মধ্যে দলকে গুছিয়ে নেওযাই চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে লাল-হলু দ কোচের সামনে।

.