নির্বাসনের নির্ঘণ্ট
৯ ডিসেম্বর: যুবভারতীতে মোহন-ইস্ট ডার্বি ঘিরে প্রবল উত্তেজনা। রেফারির সঙ্গে ওডাফার বিবাদ। লাল কার্ড দেখেন ওডাফা। দর্শকদের ছোঁড়া ইঁটে আহত হন নবি। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর দুই মিনিট পর দল প্রত্যাহার করে নেয় মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ও আইএফএ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয় খেলার পরিবেশ ছিল। ছিল যথাযথ সুরক্ষাও। সেই দিনই আই লিগের পক্ষ থেকে মোহনবাগানের শাস্তি হতে পারে বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত রহিম নবিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
৯ ডিসেম্বর: যুবভারতীতে মোহন-ইস্ট ডার্বি ঘিরে প্রবল উত্তেজনা। রেফারির সঙ্গে ওডাফার বিবাদ। লাল কার্ড দেখেন ওডাফা। দর্শকদের ছোঁড়া ইঁটে আহত হন নবি। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর দুই মিনিট পর দল প্রত্যাহার করে নেয় মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ও আইএফএ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয় খেলার পরিবেশ ছিল। ছিল যথাযথ সুরক্ষাও। সেই দিনই আই লিগের পক্ষ থেকে মোহনবাগানের শাস্তি হতে পারে বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত রহিম নবিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
১০ ডিসেম্বর: নবির অস্ত্রোপচার। ডাক্তাররা জানান তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
মোহনবাগানের কোর কমিটির বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক।
১১ ডিসেম্বর: আইএফএ সচিব কুশল দাস কথা বলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে। অন্যদিকে ডার্বির ম্যাচ কমিশন গুলাব সিং ম্যাচ রিপোর্ট দেন। রিপোর্টে মোহনবাগানকেই দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি। আই লিগে দু`বছর নির্বাসনের মুখে মোহনবাগান।
১৭ ডিসেম্বর: প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ডার্বি ম্যাচের শুনানির জন্য এক সদস্যের কমিটি তৈরি হয়।
১৯ ডিসেম্বর: আশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় খারিজ করে দেন মোহনবাগানের ম্যাচ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের রিপোর্ট দেখতে চাওয়ার আর্জি।
২০ ডিসেম্বর: মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত দেখা করেন অশোক বাবুর সঙ্গে। শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ।
২২ ডিসেম্বর: সবুজমেরুনের চার প্রাক্তনী আইএফএর কাছে ব্যক্তিগত ভাবে মোহনবাগানের প্রতি যাতে কোন অবিচার না হয় তার আবেদন করেন।
২৪ ডিসেম্বর: শুনানির জন্য দিল্লি উড়ে গেলেন মোহন কর্তারা। ওই দিন শুনানি।
২৭ ডিসেম্বর: অশোক বাবু শুনানির রায় দেন। দোষী সব্যস্ত মোহনবাগান।
২৯ ডিসেম্বর: ২ বছরের জন্য আই লিগ থেকে নির্বাসিত মোহনবাগান। সঙ্গে আর্থিক জরিমানার ঘোষণা। শাস্তির মুখোমুখি ওডাফাও।