Mohun Bagan Super Giant: সুপার সিক্সের পথে এগোল মেরিনার্স, হৃদয়ে জিতলেন পিয়ারলেস গোলকিপার!
Mohun Bagan Super Giant Moves forward CFL 2023: পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ে মোহনবাগান সুপার সিক্সের পথে আরও এগিয়ে গেল। এদিন দুরন্ত খেলে হৃদয় জিতলেন পিয়ারলেসের গোলকিপার সঞ্জয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছুটির দিন ঘরের মাঠে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ডু-অর-ডাই ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant VS Peerless)। লিগ তালিকায় গ্রুপ-এ-র পাঁচে থাকার জন্য়, মোহনবাগানের কাছে এই ম্য়াচ ছিল কার্যত মরণ-বাঁচন। হেরে গেলেই সুপার সিক্সের যাওয়ার আশা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু মোহনবাগান ১-০ গোলে জিতে কলকাতা লিগের (CFL 2023) সুপার সিক্সের পথে এগিয়ে গেল। ১০ ম্যাচে কিয়ান নাসিরিদের পয়েন্ট এখন ২৩। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই, বাগান সুপার সিক্সে পৌঁছে যাবে।
মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় রবিবার বলেছেন যে, এখনই আনন্দ করতে নারাজ। তাঁর টিমের ফুটবলারদের তাতাতে তিনি বলে দিয়েছেন যে, ডুরান্ড কাপের মতো কলকাতা লিগও জিততে হবে। তারপর হবে সেলিব্রেশেন। এদিন মাঠে ডুরান্ড কাপের ট্রফিও রাখা ছিল। ম্য়াচের পর বাস্তবের বক্তব্য়, বাকি দুটি ম্যাচও তাঁর কাছে নকআউটের মতো। পিয়ারলেসকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ জিতেছেন তিনি। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল জিতেই তিনি সুপার সিক্সের টিকিট পেতা চান। মোহনবাগান গ্রুপের শেষ দু'টি ম্য়াচ খেলবে মহামেডান ও ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে। এই দুই ম্য়াচ থেকে দুই পয়েন্ট এলেই সুপার সিক্সের টিকিট নিশ্চিত করবে পালতোলা নৌকা।
মোহনবাগানের চারজন ফুটবলার এই মুহূর্তে অনূর্ধ্ব ২৩ জাতীয় শিবিরে রয়েছন। এখানেই শেষ নয়, অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও রয়েছেন দু’জন ফুটবলার। বাস্তবকে দলগঠন করতে রীতিমতো পায়ের ঘাম মাথায় ফেলতে হয়েছে। জাহিদ, রোহন, দীপেন্দু, আমন, ব্রিজেশ, শিবজিৎ, অভিষেক, টাইসন, কিয়ান, ফারদিন ও রানাকে নিয়ে তিনি প্রথম একাদশ সাজিয়ে ছিলেন। এদিন পুরো ম্য়াচে মাত্র একটিই গোল হয়। সেটি আসে ম্য়াচের ২২ মিনিটে। রোহনের অনবদ্য় ফ্রি-কিকেই সবুজ-মেরুন প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। এটিই ম্য়াচের স্কোরলাইন।
এদিনের ম্য়াচ ছিল মোহনবাগানের আক্রমণ বনাম পিয়ারলেসের অতিরক্ষণাত্মক ফুটবলের প্রদর্শনী। মোহনবাগান জিতলেও, তাদের খেলার মধ্যে কিন্তু কোথাও সেই মরিয়া মনোভাটা দেখা যায়নি। কোথাও একটু গা ছাড়া ভাব দেখা গিয়েছিল। তবে এদিন সবুজ-মেরুন জিতলেও ম্য়াচের সেরা হয়েছেন প্রতিপক্ষের গোলকিপার সঞ্জয়। তে-কাঠির নীচে হয়ে গিয়েছিলেন বাজ পাখি। ম্য়াচরে ৬১ ও ৭১ মিনিটে যেভাবে তিনি কিয়ান ও টাইসনরে গোল বাঁচিয়েছেন, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। পুরো ম্য়াচেই দুরন্ত সব সেভ করেছেন সঞ্জয়। তাঁর খেলার প্রশংসা করেছেন সকলেই। ম্য়াচের শেষের দিকে কয়েক'টি কার্ড খেলার তাল কেটেছিল।
কলকাতা লিগের গ্রুপ-এ-র মগডালে এখন মহামেডান। ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট পকেটে পুরে তারা চলে গিয়েছে সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও এক ম্য়াচ রয়েছে হাতে। দুইয়ে ডায়মন্ড হারবার। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। তাদেরও বাকি এক ম্য়াচ। তিনে কালীঘাট। ১২ ম্যাচ ২৪ পয়েন্ট। চারে উঠে এল মোহনবাগান। ১০ ম্য়াচে ২৩ পয়েন্ট। পাঁচে নেমে গেল আর্মি রেড। ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট। ছয়েই থাকল পিয়ারলেস ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। কালীঘাট এবং সেনার কোনও ম্য়াচ বাকি নেই আর। তাই তাদের সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।