ধোনির আগে ইনি, ভাঙা যাবে এই রেকর্ড?
অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১৯৪টি, তারমধ্যে ভারত জয়ী হয়েছে ১০৭টি ম্যাচে। এই নজির ভারতের আর কোনও অধিনায়কের নেই। এমনকি এশিয়ার আরও তিন ক্রিকেটীয় দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কোনও অধিনায়কই এই নজির করতে পারেননি। সুতরাং, একথা বলতেই হচ্ছে ধোনি কেবল ভারতের নন এশিয়া মহাদেশের সেরা অধিনায়ক।
ওয়েব ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১৯৪টি, তারমধ্যে ভারত জয়ী হয়েছে ১০৭টি ম্যাচে। এই নজির ভারতের আর কোনও অধিনায়কের নেই। এমনকি এশিয়ার আরও তিন ক্রিকেটীয় দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কোনও অধিনায়কই এই নজির করতে পারেননি। সুতরাং, একথা বলতেই হচ্ছে ধোনি কেবল ভারতের নন এশিয়া মহাদেশের সেরা অধিনায়ক।
পরিসংখ্যানের বিচারে ধোনির থেকে এগিয়ে রয়েছেন বিশ্বের মাত্র দুই বিস্ময়। একজনকে তো এই টপকালেন বলে! বর্ডার, অসি ক্যাপ্টেনের নজির ধোনি ভাঙতে পারবেন আর মাত্র একটা ম্যাচ জিতলেই। ১৭৮টি ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন বর্ডার। তাঁর অধিনায়কত্বে ১০৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ধোনি এখন দাঁড়িয়ে ১০৭-এ। আর এক নম্বরে যিনি রয়েছেন তিনি বিশ্বের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম একজন।
রিকি পন্টিং। ২৩০ ম্যাচে অধিনায়ক পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিয়েছেন ১৬৫ ম্যাচে। আর মহেন্দ্র সিং ধোনি যাঁদের হারিয়ে সেরা হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন ক্রোনিয়ে এবং নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ফ্লেমিং। ক্রোনিয়ের রেকর্ড বিশ্বের যেকোনও ক্রিকেট দলের অধিনায়কের কাছে ইর্শার। মাত্র ১৩৮ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন, আর জিতেছেন ৯৯টি ম্যাচ। অধিনায়ক হিসেবে সব থেকে সফল (সব থেকে কম ম্যাচে হেরেছেন) তিনিই। ফ্লেমিং ২১৮ ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন, জিতেছেন ৯৮টি।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে ১০০ ম্যাচ জেতা তিন অধিনায়কের মধ্যে ধোনি একজন, এই নজির ভারত তথা গোটা বিশ্বে বিরল। একথাও অনস্বীকার্য, ভারত সবথেকে বেশি ম্যাচ জিতেছে তাঁর অধিনায়কত্বেই।
একনজরে সেরা ৫ অধিনায়ক (একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়ক থেকে জয় পেয়েছেন)
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া) ১৬৫টি
অ্যালেন বর্ডার (অস্ট্রেলিয়া) ১০৭টি
মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত) ১০৭টি*
হ্যান্সি ক্রোনিয়ে (দক্ষিণ আফ্রিকা) ৯৯টি
স্টিফেন ফ্লেমিং (নিউজিল্যান্ড) ৯৮*
(সেরা পাঁচের মধ্যে একমাত্র ধোনি বাদ দিয়ে সবাই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, ক্রোনিয়ে বেঁচে নেই)