Bangladesh, ZIM vs BAN : জ্বলে উঠলেন মুস্তাফিজুর, নিয়মরক্ষার ম্যাচে জিতল টাইগার্সরা
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় জিম্বাবোয়ে। বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে। তামিম ইকবাল ১৯, এনামুল হক ৭৬, মাহমুদুল্লাহ ৩৯, আফিফ হোসেন অপরাজিত ৮৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ রান করেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জিম্বাবোয়ের কাছে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছিল বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার তৃতীয় একদিনের ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে মান বাঁচাল টাইগার্সরা। তবে ফের একবার ব্যাটিং ব্যর্থতার হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কা চেপে বসেছিল বাংলাদেশের ঘাড়ে। মুস্তাফিজ রহমান ১৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় জিম্বাবোয়ে। বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে। তামিম ইকবাল ১৯, এনামুল হক ৭৬, মাহমুদুল্লাহ ৩৯, আফিফ হোসেন অপরাজিত ৮৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ রান করেন। যদিও খাতা খুলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন। এবাদত যদিও কোনও বল খেলার সুযোগ পাননি। ব্র্যাড ইভান্স ও লিউক ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন সিকন্দর রাজা।
আরও পড়ুন: Trent Boult : বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে এলেন বাঁহাতি পেসার! কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: Babar Azam, Suryakumar Yadav : কেন সূর্যকে পিছনে ফেললেন পাক অধিনায়ক? জেনে নিন
পালটা ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। তারা মাত্র ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। রিচার্ডকে সঙ্গে নিয়ে ভিক্টর শেষ উইকেটের জুটিতে ৬৮ রান যোগ করেন। শেষমেশ জিম্বাবোয়ে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে তারা ৩ ম্যাচের সিরিজে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে। উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ওম্যাচে জিম্বাবোয়ে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ পরাজিত হয় ৫ উইকেটে।
এই ম্যাচে জিম্বাবোয়ের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৪ রান করেন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান রিচার্ড। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ভিক্টর করেন ২৬ রান। ২৫ রান আসে অতিরিক্ত হিসাবে। খাতা খুলতে পারেননি সিকন্দর রাজা। মুস্তাফিজুর রহমান প্রতি ম্যাচেই টুকিটাকি উইকেট নিচ্ছিলেন। তবে প্রভাবশালী বোলিং করতে পারেননি তিনি। অবশেষে সিরিজের শেষ ম্যাচে পরিচিত ছন্দে দেখায় তাঁকে। মুস্তাফিজ ১৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন আফিফ। সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সিকন্দর রাজা। সিকন্দর ৩ ম্যাচের সিরিজে ২৫২ রান করার পাশাপাশি ৫টি উইকেটও নিয়েছেন।