সামাজিক অসম্মান, Ishan Porel-এর বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন Dr. Sisir Chakraborty
গত ২৬ মার্চ ডাক্তার শিশির চক্রবর্তীর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) এই জোরে বোলার। ঈশানের দাবি ছিল গত ২১ মার্চ তাঁর মা শ্রীমতী রীতা পোড়েল জনৈক ডাক্তার শিশির চক্রবর্তীর কাছে তীব্র অপমানিত হন।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, সব্যসাচী বাগচী: ঈশান পোড়েলের (Ishan Porel) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন ডাক্তার শিশির চক্রবর্তী (Dr. Sisir Chakraborty)। সেইজন্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Medical Association) কর্তাদের কাছে সুবিচার চেয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই চিঠি জি ২৪ ঘণ্টার কাছে এসেছে।
গত ২৬ মার্চ ডাক্তার শিশির চক্রবর্তীর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) এই জোরে বোলার। ঈশানের দাবি ছিল গত ২১ মার্চ তাঁর মা শ্রীমতী রীতা পোড়েল জনৈক ডাক্তার শিশির চক্রবর্তীর কাছে তীব্র অপমানিত হন। যদিও সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ডাক্তারের দাবি ঈশান ও তাঁর পরিবারের দাবি সঠিক নয়। এমনকি ফেসবুকের মতো বহুল প্রচলিত সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর সম্পর্কে অপপ্রচার করা হয়েছে। আর তাই আইনের দ্বারস্ত হতে চলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জি ২৪ ঘণ্টাকে টেলিফোনে ডাক্তার শিশির চক্রবর্তী বলেন, "ঈশান একজন সেলিব্রেটি। ঈশান ভাল খেললে চন্দননগরের বাসিন্দা হিসেবে আমিও গর্ববোধ করব। কিন্তু যে ভাষায় ঈশান আমাকে অপমানিত করেছেন, আমার পেশাদারিত্ব ও ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। গত ২৬ বছর ধরে আমি সম্মানের সঙ্গে এই মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কোনও অসুস্থ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কথা ভাবতেও পারিনা। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ঈশানের মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি।"
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডাক্তার শিশির চক্রবর্তী। তিনি যোগ করলেন, "আমি ঈশানকে এড়িয়ে যেতেই পারি। কিন্তু ক্ষমা করার আমি কেউ নই। ও শুধু আমাকে নয়, আমাদের পেশাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তাই এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা নেবেন।"
গত ২৬ মার্চ ডাক্তার শিশির চক্রবর্তীর পেশাদারিত্ব ও ব্যবহারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন ঈশান। এই মুহূর্তে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত বাংলার এই জোরে বোলার লিখেছিলেন, 'আমি কোনওদিনই এই সব ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখিনি। কিন্তু আমাকে মুখ খুলতেই হচ্ছে। আমার মা ড: শিশির চক্রবর্তীকে দেখাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে মা কিছু প্রশ্ন করতেই উনি ভীষণ অপমানজনক ভঙ্গিতে মাকে বলে ওঠেন, 'আপনি আমাকে নয়, মনরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখান। আপনার মাথার সমস্যা আছে!' একজন ডাক্তার তাঁর রোগী সম্পর্কে এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন! মাথায় আসছে না।' প্রতিবাদী ঈশানের লেখা এখানেই থামেনি। দীর্ঘ পোস্টে তিনি ফের লিখেছিলেন, 'একজন চিকিৎসকের ব্যবহার এত খারাপ কীভাবে হতে পারে। এটা ভেবে আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে। একজন রোগী অসুস্থ হওয়ার জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর রোগীর সঙ্গে কীভাবে এত বাজে ব্যবহার তিনি করতে পারেন।'
তবে ডাক্তার শিশির চক্রবর্তী অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং তিনি সামাজিক মাধ্যমে তীব্র অপমানিত হওয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটার চিন্তা করছেন।