ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, রিও অলিম্পিকে খেলতে দেখা যাবে শরনার্থীদেরও
এবার থেকে শরনার্থীদের জন্যও খুলে গেল অলিম্পকের দরজা। এই প্রথমবার অলিম্পকে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন শরনার্থীরা। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাচ এ কথা আজ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্মেলনে এই কথা ঘোষনা করেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: এবার থেকে শরনার্থীদের জন্যও খুলে গেল অলিম্পকের দরজা। এই প্রথমবার অলিম্পকে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন শরনার্থীরা। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাচ এ কথা আজ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্মেলনে এই কথা ঘোষনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রসংঘ শপথ নিয়েছে, অচিরেই গোটা বিশ্বে যুদ্ধ বন্ধ করার। সেইজন্য রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩ সদস্যরাই প্রতিভাবান শরনার্থীদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তাঁদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা করবে।
থমাস বাচ বলেছেন, “গোটা বিশ্বের শরনার্থীদের কাছেই এটা আশার আলো। যে তাঁরা যত অসুবিধাতেই থাকুন, তাঁদের প্রতিভা থাকলে, তা আমরা কিছুতেই নষ্ট হতে দেব না।এতদিন তাঁরা অলিম্পিকে অংশ নিতে পারতেন না, তার কারণ, তাঁরা নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারত না। কিন্তু ২০১৬-র রিও অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গেই গেমস ভিলেজে থাকতে দেওয়া হবে শরনার্থী খেলোয়াড়দের।”
প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, নিজেদের দেশ নেই। কোনও জাতীয় সঙ্গীত নেই। তাহলে কি মার্চপাস্টে হাঁটবেন না শরনার্থী খেলোয়াড়রা? নিশ্চয়ই মার্চপাস্টে অংশ নেবেন। থমাস বাচ জানিয়ে দিয়েছেন, শরনার্থী খেলোয়াড়রা অলিম্পিক পতাকা নিয়ে হাঁটবেন আর অলিম্পিক অ্যানথেম বাজানো হবে, তাঁরা হাঁটার সময়।
শরনার্থী খেলোয়াড়দের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি একটি ২০ লক্ষ ডলারের ফান্ডও তৈরি করেছে। অলিম্পিককেই গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ কেন বলা হয়, তার প্রমাণ দিলেন থমাস বাচরা।