জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন, অদম্য মনের জোরে আজ পেশাদার সার্ফার
জন্ম থেকেই দুচোখ কখনও আলো দেখেনি। সমুদ্রকে কেমন দেখতে হয় তাও জানা নেই তার। কিন্তু সে সমুদ্রকে অনুভব করতে পারে। অনুভব করতে পারে তার প্রতিটি ঢেউকে। আর সেই অনুভব আর মনের জোরকে ভরসা করেই সে এগিয়ে যায় ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে। মেতে ওঠে ঢেউ ভাঙার খেলার। নাম ডেরেক রাবেলো। সমস্তরকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে আজ সে সফল পেশাদার সার্ফার।
ওয়েব ডেস্ক : জন্ম থেকেই দুচোখ কখনও আলো দেখেনি। সমুদ্রকে কেমন দেখতে হয় তাও জানা নেই তার। কিন্তু সে সমুদ্রকে অনুভব করতে পারে। অনুভব করতে পারে তার প্রতিটি ঢেউকে। আর সেই অনুভব আর মনের জোরকে ভরসা করেই সে এগিয়ে যায় ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে। মেতে ওঠে ঢেউ ভাঙার খেলার। নাম ডেরেক রাবেলো। সমস্তরকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে আজ সে সফল পেশাদার সার্ফার।
কিন্তু কীভাবে এ অসাধ্যসাধন? শুনব তারই মুখে।
রাবেলো বলে, “প্রত্যেকটা ঢেউয়ের একটা নিজস্ব আওয়াজ আছে। আমি সেই আওয়াজ শুনেই এগোই।”
সফলতার আনন্দ চোখেমুখে উপছে পড়ছে। রাবেলো জানাল, “আমার জন্মের আগেই বাবা ঠিক করেছিল আমায় সার্ফার বানাবে। নামও রাখা হয়েছিল হাওয়াইয়ের প্রথম বিশ্ব সার্ফার চ্যাম্পিয়নের নামে। ডেরেক হো।”জন্ম থেকে গ্লুকোমা রাবেলোর। আর এই গ্লুকোমাই কেড়ে নিয়েছে তার দৃষ্টিশক্তি। বয়স তখন সবে ১৭। সার্ফার হওয়ার জেদটা মাথায় চেপে বসে রাবেলোর। শুরু হয় সংগ্রাম।
রাবেলো বলে চলে, “রোজ সকালে উঠে আমি আর বাবা মিলে চলে যেতাম সমুদ্রের ধারে। বাবা সবসময় আমাকে উত্সাহ জুগিয়েছেন। সাহায্য করেছেন সমস্তরকম প্রতিকূলতাকে জয় করতে।”আর তখন থেকেই শুরু হয়েছে ঢেউয়ের আওয়াজ শুনে সার্ফ নিয়ে এগোনোর নেশা... ঘণ্টার পর ঘণ্টা...অবশেষে সাফল্য। জন্মান্ধ হয়েও আজ ডেরেক রাবেলো সফল পেশাদার সার্ফার।
তবে এখানেই সে থামবে না বলে সাফ জানাল আত্মবিশ্বাসী রাবেলো। তার এরপরের লক্ষ্য বরফের মাঝে স্কেটিং...