গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক বাবা-ছেলের মতো! দুর্দিনে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কয়েকজন স্থানীয় কোচ তামিমকে এই দুর্দিনে নিজেদের দুরাবস্থার কথা জানিয়েছিলেন।

Updated By: Jun 8, 2020, 12:15 AM IST
গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক বাবা-ছেলের মতো! দুর্দিনে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক
নিজস্ব প্রতিবেদন- গুরুর হাত ধরেই এতদুর এগিয়ে আসা। গুরু সঠিক মার্গ না দেখালে আজ কি তিনি তামিম ইকবাল হতে পারতেন! খেলাধূলা শিষ্টাচার শেখায়। প্রকৃত মানুষ হওয়ার পাঠ পাওয়া যায় খেলাধূলা থেকেই। সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ওয়ান ডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দুর্দিনে গুরুদের কষ্টের খবর পেয়ে তিনি ছুটে গেলেন সাহায্য করতে। গুরুদের কাছে হাতেখড়ি। তার পর সেই গুরুদের দেখানো পথে হেঁটেই একজন ক্রীড়াবিদ জীবনে প্রতিষ্ঠা পায়। তাই একজন ক্রীড়াবিদের কাছে গুরু কখনও বাবার থেকে কম নয়। বাবা দুর্দিনে বিপদে পড়লে ছেলে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে গুরুর ক্ষেত্রেও তাই। তিনি এখন যাঁদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একজন ক্রিকেটার তাঁদের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পেরে তামিম নিশ্চয়ই গর্বিত বোধ করেছেন। সেইসঙ্গে উঠতি তারকাদের সামনে উদাহরণও সৃষ্টি করেছেন।
 
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কয়েকজন স্থানীয় কোচ তামিমকে এই দুর্দিনে নিজেদের দুরাবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। করোনা লকডাউনে জেরে এখন ক্রিকেট বন্ধ সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি বন্ধ। তাই মাস দুয়েকের বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না কোচরা। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছিলেন তামিমকে। জানামাত্র তামিম নিজের দাদা নাফিসকে ফোন করেন। তিনি নাফিসকে বলেন, তড়িঘড়ি যেন কোচদের সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরই নাফিস উঠেপড়ে লাগেন। চট্টগ্রাম শহরের কাজির দেউরিতে পারিবারিক রেস্তোরাঁ রয়েছে তামিমদের। সেখানে একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোচদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন তামিম ইকবাল। তামিম অবশ্য অনুদানের কথা প্রকাশ করতে চাননি। তাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বলেন।
 
তামিম জানিয়েছেন, তিনি কোচদের অনুদান দেননি। এটা সম্মান প্রদান। তাঁদের হাত ধরেই ক্রিকেটে এসেছিলেন তিনি। তাঁদের জন্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। তাঁদের সদুঃসময়ে তিনি এগিয়ে আসবেন না, এমনটা হয় না।
 
.