টানা দশ সিরিজ জয়ের হাতছানি টিম ইন্ডিয়ার সামনে
২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও হারেনি টিম ইন্ডিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইংল্যান্ডে টি টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর মঙ্গলবার একদিনের সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টিম ইন্ডিয়া। আজ হেডিংলেতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ভারত। পরিস্থিতিটা একেবারে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতোই। প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারতের দুরন্ত জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কামব্যাক।এবার তৃতীয় ম্যাচেই নির্ধারিত হবে কে জিতবে একদিনের সিরিজ।
আরও পড়ুন - মিডল অর্ডারে বিরাট চিন্তায় ভারত
মঙ্গলবার লিডসে একদিনের সিরিজের কার্যত ফাইনালে বিরাটের তুরুপের তাস সেই কুলদীপ যাদব। এই রিস্ট স্পিনারকে খেলতে দুটি একদিনের ম্যাচেই বেশ সমস্যায় পড়েছেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। আর একথা স্বীকার করেই নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। এদিকে ম্যাচে ধোনির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরাট অবশ্য মাহির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তবে মিডল অর্ডারে একটু সমস্যা রয়েছে। চার নম্বরে নেমে রাহুল আগের ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে দীনেশ কার্তিককে খেলালে হয়তো বসতে হবে ধোনিকে। এই ঝুঁকিটা বোধ হয় নিতে চাইবেন না বিরাট কিংবা রবি শাস্ত্রী কেউই।
আরও পড়ুন - ঋদ্ধির চোটে শিকে ছিঁড়তে পারে কার্তিকের
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডেথ ওভারে বোলিং চিন্তায় রাখছে বিরাট কোহলিকে। চোটের কারণে বুমরা নেই। ফলে উমেশ যাদবের ওপর বাড়তি চাপ থাকছে। তবে ইংল্যান্ড ওপেনার জেসন রয় এই ম্যাচে হয়তো খেলতে পারবেন না কারণ, আঙুলে চোট রয়েছে তাঁর। আজ লিডসে জিততে পারলেই একঢিলে দুই পাখি মারবে বিরাটের দল। ইংল্যান্ডে একদিনের সিরিজ পকেটে পুড়ে নেওয়ার পাশাপাশি টানা দশটা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ (হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে) জিতে নেবে টিম ইন্ডিয়া। ২০১৬ সালে জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-৪ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর আর হারেনি ভারত। ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও হারেনি টিম ইন্ডিয়া।