বিরাট হেরে কোহলির ভারত বিদায়ের মুখে
দেশের অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক ম্যাচটা খারাপ হল বিরাট কোহলির। ত্রিদেশীয় শ্রীলঙ্কার কাছে জঘন্য হারের মুখে পড়তে হল ভারতকে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ-এর দলের কাছে ১৬১ রানে হারের পর ত্রিদেশীয় সিরিজ ভারতের কাছে এখন কার্যত নক আউট হয়ে দাঁড়াল। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তারপর শ্রীলঙ্কা। পরপর দুটো ম্যাচ হারায় চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে ওঠার ভারতের কাছে একটাই শর্ত পরের দুটো ম্যাচে বিরাট জয়।
শ্রীলঙ্কা- ৩৪৮/১ (থারাঙ্গা ১৭৪ অপঃ, জয়বর্ধনে ১০৭)
ভারত-১৮৭ (৪৪.৫ ওভার) (জাদেজা ৪৯ অপ, হেরাথ ৩/৩৭)
দেশের অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক ম্যাচটা খারাপ হল বিরাট কোহলির। ত্রিদেশীয় শ্রীলঙ্কার কাছে জঘন্য হারের মুখে পড়তে হল ভারতকে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ-এর দলের কাছে ১৬১ রানে হারের পর ত্রিদেশীয় সিরিজ ভারতের কাছে এখন কার্যত নক আউট হয়ে দাঁড়াল। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তারপর শ্রীলঙ্কা। পরপর দুটো ম্যাচ হারায় চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে ওঠার ভারতের কাছে একটাই শর্ত পরের দুটো ম্যাচে বিরাট জয়।
এবার মঙ্গলাবারের ম্যাচের কথায় ফেরা যাক। সাম্প্রতিককালে ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে জঘন্য পারফরম্যান্স দেখাল বিরাট কোহলির ভারত। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনভাগেই একসঙ্গে এত খারাপ ক্রিকেট খেলতে ভারতকে বেশ কয়েক ম্যাচে দেখা যাননি। মঙ্গলবার সাবাইনা পার্কে সেটাই হল। প্রথমে বোলিং করে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন উমেশ, ইশান্তরা। আর ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে আত্মবিশ্বাস উপহার দিলেন কোহলি, রায়নারা। দেখে বোঝাই গেল না এই দলটাই কদিন আগেই বিশ্বসেরা হয়েছে। আসলে ধোনির অভাবটা বড় বেশি প্রকট হয়ে পড়ল। এমন নয় যে ধোনির ভারত এত জঘন্য হারেনি, অথবা ইশান্ত, উমেশরা এত খারাপ বল করেননি।
তবে খারাপ দিনে অধিনায়ক হিসাবে যে কাজটা খুব ভাল করে করেন ধোনি, সেটারই অভাব দেখা গেল। অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক ম্যাচটা মনে রাখতে চাইবেন না কোহিল। যেমন মনে রাখতে চাইবেন না বাংলার সামি আমেদও। হঠাত্ পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না সামি। দশ ওভারে বাংলার পেসার দিলেন ৬৮ রান।
শুরুতে খারাপ বল করেননি সামি। অবশ্য সামি কেন ভারতীয় দলের সব বোলাররাই বেশ হতাশাজনক স্পেল করলেন। ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কার পড়ল মাত্র একটা উইকেট। সেই সবেধন নীলমণি উইকেটটা পেলেন অশ্বিন। ভারতীয়দের কাছে এই ম্যাচটা যদি আতঙ্ক আর দুঃস্বপ্নের হয়, তাহলে শ্রীলঙ্কার কাছে ঠিক উল্টো। এর আগে ভারতের কাছে টানা সাত ম্যাচে হারের পর খেলতে নেমে লঙ্কার ঝাল দেখা গেল। দুই ওপেনার সেঞ্চুরি পেলেন। থারাঙ্গা (১৭৪ অপঃ) তো আবার খেললেন তাঁর জীবনের সেরা ইনিংস।
ব্যাট করতে নেমে ভারতের জবাবটা ছিল আবার আত্মসমর্পনের ঢঙে। ৬৫ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার সময়ই বোঝা গিয়েছিল বিরাট হার অপেক্ষা করছে বাস্তবে হলও তাই। জাদেজার ৪৯, রায়নার ৩৩ রানের ইনিংসগুলোও লাজ বাঁচাতে পারল না। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিদায় ঘণ্টা বেজে গেল ১৬১ রানের বড় হারে।