বিশ্বকাপে সেরা গোলের স্বীকৃতি পেলেন রবিন ভ্যান পার্সি

বিশ্বকাপে সেরা গোলের স্বীকৃতি পেলেন রবিন ভ্যান পার্সি

Updated By: Jul 8, 2014, 11:14 PM IST

-----------------------------------------------
বিশ্বকাপে সেরা গোলের স্বীকৃতি পেলেন রবিন ভ্যান পার্সি। স্পেনের বিরুদ্ধে রীতিমত উড়ে গিয়ে গোল করেছিলেন এই ম্যান ইউ তারকা। গোলের সেই মুহূর্তটিকে তুলে ধরা হয়েছে মুদ্রায়। রয়্যাল ডাচ মিন্টের পক্ষ থেকে এই মুদ্রা বের করা হয়েছে।

ব্রাজিল বিশ্বকাপে এই গোলটি অন্যতম সেরা। গ্রুপ লিগের ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে গোলটি করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের রবিন ভ্যান পার্সি। শূন্যে শরীরটিকে ভাসিয়ে উড়ে গিয়ে হেড করে গোল করেছিলেন তিনি। তারপরই ভ্যান পার্সিকে নাম দেওয়া হয়েছিল ডাচ ফ্লাইংম্যান। ভ্যান পার্সির এই অবিশ্বাস্য গোল স্থান পেল ডাচ মুদ্রায়। রয়্যাল ডাচ মিন্ট এই মুদ্রাটি প্রকাশিত করেছে। প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার মুদ্রা প্রকাশিত করেছে ডাচ মিন্ট। প্রত্যেকটি মুদ্রার দাম নয় পাউন্ডের বেশি ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ ও নক আউট রাউন্ড মিলে পাঁচ ম্যাচে চারটে জিতে সেমিফাইনালে খেলতে নামছে আয়োজক দেশ ব্রাজিল ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার জার্মানি। ব্রাজিলের শক্তি কোন দিকে, কোন দিকেই বা পিছিয়ে সেলেকাওরা। অন্যদিকে জার্মানির শক্তিই বা কি। আমরা এক নজরে দেখে নেব এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর কী হতে পারে।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের থেকে আর মাত্র দুটো ম্যাচ দুরে ব্রাজিল। সেমিফাইনালে অবশ্য জার্মানির মতো কঠিন প্রতিপক্ষকে সামলাতে হবে লুই ফিলিপ স্কোলারিকে। তার ওপর চোট ও কার্ড সমস্যায় দলে নেই দুজন তারকা। এক নজরে দেখে নেব এই ম্যাচে নামার আগে ব্রাজিলের শক্তি ও দুর্বল দিকগুলোর।

ব্রাজিলের শক্তি-
-একঝাঁক তরুণ ফুটবলারের হার না মানা মনোভাব। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া অস্কার, ডাভিড লুইজরা।
-নেইমারের চোট পেয়ে ছিটকে যাওটা বাড়তি মোটিভেট করছে ব্রাজিলিয়ান শিবিরকে। সেরা তারকার জন্য আরও জিততে চাইছেন তার সতীর্থরা।
-দর্শকদের ক্রমাগত সমর্থন। জার্মানির বিরুদ্ধেও নব্বই মিনিট ধরে গলা ফাটাবেন সমর্থকরা।
-কার্ড সমস্যা মিটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গুস্তাভোর দলে ফেরা।
-কোচ হিসেবে স্কোলারির উপস্থিতি। বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিগ ফিলের। ট্যাকটিকাল যুদ্ধে বিপক্ষকে কোচকে পিছনে ফেলে দিতে পারেন অনায়াসে।

ব্রাজিলের দুর্বলতা-
-রক্ষণে অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার না থাকাটা বড় ক্ষতি। নিচ থেকে দলকে খেলাতে পারেন সিলভা। বড় ম্যাচে তার খেলার অভিজ্ঞতাও অনেক।
-ব্রাজিল দলে নেইমারের বিকল্প ফুটবলার নেই। উইলিয়ান ও বার্নাডের কথা ভাবা হলেও তাদের বয়স কম।
-অস্কার, ফ্রেডের অফ ফর্ম। মাঝে মাঝেই খেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিলের মাঝমাঠ।

ভারসাম্যের বিচারে সাম্বার দেশে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার এই জার্মানি। তবে সেই দলের বেশ কিছু দুর্বলতা চোখে পড়ছে।

জার্মানির শক্তি-
- ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা। একসঙ্গে অনেকদিন ধরে খেলছেন এই জার্মান দলের অনেক ফুটবলার।
-জার্মানির মাঝমাঠ বিশ্বকাপের সেরা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কখনও কখনও ফলস নাইন স্ট্রাটেজিতেও দলকে খেলাচ্ছেন জোয়াকিম লো। রিজার্ভ বেঞ্চে শক্তি বেশ ভাল।
-গোলে ম্যানুয়েল নয়ারের উপস্থিতি। চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন জার্মান কিপার।
-শেষ আট বছর বিশ্ব-ফুটবলের সেরা মঞ্চে দুরন্ত খেললেও ট্রফি আসেনি। বারবার তৃতীয় হিসেবেই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে। তাই মুলার, লামদের মধ্যে এবার বাড়তি খিদে ও বাড়তি জেদ।

জার্মানির দুর্বলতা-
-পর্তুগালকে প্রথম ম্যাচে সহজেই হারানোর পর দলের খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব। শেষ দুটো ম্যাচে গোল পাননি মুলার।
- ফলস নাইনে খেললেও পরবর্তী সময় স্ট্রাটেজি বদলাতে বাধ্য হয়েছেন লো। শুরু থেকে খেলানো হচ্ছে ক্লোসেকে।
- মাঝমাঠ যতটা ভাল, রক্ষণ ততটা নয়। নকআউট ম্যাচে আলজরিয়া ও ফ্রান্সের আক্রমণের সামনে একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বোয়েতাংরা।

আমরা এক নজরে দেখে নেব এবারের বিশ্বকাপের
দুই দলের তুল্যমূল্য পরিসংখ্যান।

দুদলেরই শক্তি-দুর্বলতার পরিসংখ্যান থাকলেও,মাঠের লড়াইয়ে যে দল বিপক্ষকে টেক্কা দেবে,তারাই বাজিমাত করবে।

.