Virat Kohli: IPL-এর প্লে-অফে ‘বিরাট’ খারাপ ফর্ম, দেখুন পরিসংখ্যান
দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) উইকেট তুলে নিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (Prasidh Krishna)। সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে ফিরেছিলেন ‘কিং কোহলি’ (King Kohli)।
সব্যসাচী বাগচী: বড় মঞ্চে বড় পারফর্মররা জ্বলে ওঠেন। কিন্তু বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সেটা পারছেন কোথায়! সেই ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত, আইপিল-এর (IPL) নক-আউট পর্বের ম্যাচ এলেই চুপসে যাচ্ছেন ‘কিং কোহলি’। স্বভাবতই ভুগছে তাঁর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। ১৫ বছর কেটে গেলেও ট্রফি হাতে তুলতে পারল না তাঁর দল। তাঁর কাছেও অধরাই রয়ে গেল এই মহার্ঘ্য ট্রফি। আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বাধিক ৬৬২৪ রান করলেও, বিরাট কিন্তু মেগা ম্যাচে একেবারে ব্যর্থ।
পুরনো রোগ আর সারল না। লেখা ভাল পুরনো রোগের ওষুধ খুঁজে বের করতে পারলেন না বিরাট। শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মতো মোক্ষম ম্যাচে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার (Prasidh Krishna) বাইরে যাওয়া ডেলিভারিকে খোঁচা দিয়ে ফিরে গেলেন আরসিবি-র (RCB) প্রাক্তন অধিনায়ক। ক্যাচ ধরলেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। তবে আইপিএল-এর প্লে-অফে বিরাটের অফ ফর্ম কিন্তু নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও একাধিকবার বড় মঞ্চে ব্যর্থ হয়েছেন ‘কিং কোহলি’। সেই পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখা যাক।
১) আরসিবি বনাম সিএসকে (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল, ২০০৯) – ১৭ বলে ২৪*। আরসিবি ৬ উইকেটে জয় পায়।
২) আরসিবি বনাম ডেকান চার্জার্স (ফাইনাল, ২০০৯) – ৮ বলে ৭ রান। ৬ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন ডেকান চার্জার্স।
৩) আরসিবি বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (প্রথম সেমি ফাইনাল, ২০১০) – ৭ বলে ৯ রান। ৩৫ রান জয় পায় মুম্বই।
৪) আরসিবি বনাম ডেকান চার্জার্স (তৃতীয় স্থানের খেলা, ২০১০) – বিরাট ব্যাট করেননি।
৫) আরসিবি বনাম সিএসকে (প্রথম কোয়ালিফায়ার, ২০১১) – ৪৪ বলে ৭০*। ৬ উইকেটে জয় পায় সিএসকে।
৬) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম আরসিবি (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার, ২০১১) – ১২ বলে ৮ রান। ৪৩ রানে জিতে যায় আরসিবি।
৭) সিএসকে বনাম আরসিবি (ফাইনাল, ২০১১) – ৩২ বলে ৩৫। ৫৮ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন সিএসকে।
৮) আরসিবি বনাম রাজস্থান রয়্যালস (এলিমিনেটর, ২০১৫) – ১৮ বলে ১২ রান। ৭১ রানে জিতেছিল আরসিবি।
৯) সিএসকে বনাম আরসিবি (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার, ২০১৫) – ৯ বলে ১২ রান। ৩ উইকেটে জয় পায় সিএসকে।
১০) গুজরাত লায়ন্স বনাম আরসিবি (প্রথম কোয়ালিফায়ার, ২০১৬) – ২ বলে ০। ৪ উইকেটে জয় পায় আরসিবি।
১১) আরসিবি বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (ফাইনাল, ২০১৬) – ৩৫ বলে ৫৪ রান। ৮ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
১২) আরসিবি বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এলিমিনেটর,২০২০) – ৭ বলে ৬ রান। ৬ উইকেটে জয় পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
১৩) আরসিবি বনাম লখনউ সুপার জায়ান্ট (এলিমিনেটর, ২০২২) – ২৪ বলে ২৫ রান। ১৪ রানে জিতে যায় আরসিবি।
১৪) আরসিবি বনাম রাজস্থান রয়্যালস (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার, ২০২২) – ৮ বলে ৭ রান। ৭ উইকেটে জিতে ফাইনালে রাজস্থান।
আরও পড়ুন: Virat Kohli, IPL 2022 Qualifier 2: পুরনো রোগ সারল না, ফের খোঁচা দিয়ে আউট ‘King Kohli’