বিশ্বকাপে ফাইনালে কলকাতা কানেকশন
বিশ্বকাপে ফাইনালে কলকাতা কানেকশন
রিও টু কলকাতা। দুরত্বের বিচারে ব্যবধান অনেকটা। তবে সাম্বার মাটিতে যে দুটো দেশ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামছে সেই দুটো দলেই রয়েছে কলকাতা কানেকশন। কলকাতার মাটিতে ভেনিজুয়েলা ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল সাবেয়া-মেসি জুগলবন্দি। অন্যদিকে কলকাতায় খেলেই নাম করেছেন থমাস মুলার ও টনি ক্রুজ।
আর্জেন্টিনা ও জার্মানি। বিশ্বফুটবলের দুই জায়েন্ট। লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের দুই শক্তিশালী দেশের হাত ধরে ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে কলকাতা। রবিবার রিওর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে যখন বিশ্বসেরা খেতাব দখলের লড়াইয়ে নামবে দুপক্ষ তখন তাদের সমর্থন জানাবে ফুটবলের মক্কাও। ২০১১ সালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ঐতিহাসিক ম্যাচ।
ভারতীয় ফুটবলে যে ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বফুটবলে টানা ব্যার্থতার পর আর্জেন্টিনার ফিরে আসার লড়াই শুরু হয়েছিল কলকাতার মাটি থেকে। জাতীয় দলে সাবেয়ার কোচিং জীবন শুরু এ শহরেই। আর কোচ মেসিকে অধিনায়ক করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন সাবেয়া। মেসি- সাবেয়া জুটির দৌড় শুরু সেখান থেকেই। সহকারী কোচ করা হয়েছিল জুলিয়ান ক্যামিনোকে। ১৯৮৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কয়েকমাস খেলে গিয়েছেন এই ক্যামিনো। তাই কলকাতার সঙ্গে আর্জেন্টিনার যোগ স্পষ্ট। রবিবারের ম্যাচের আগে তাই আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচের উদ্যোক্তারা নস্ট্যালজিক।
আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচের উদ্যোক্তা ভাস্বর গোস্বামীর গলাতেও ধরা পড়ল আবেগ।
২০১০ সালে কলকাতায় সামার ক্যাম্পে বায়ার্ন মিউনিখের জুনিয়র দলের সঙ্গে এসেছিলেন থমাস মুলার নামে এক তরুণ ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল মাঠে খেলেছিলেন একটি ম্যাচ। পরবর্তী সময় সেই বায়ার্ন মিউনিখে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সই করেছিলেন মুলার। জাতীয় দলেও মুলার এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা তারকা।
২০০৮ সালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অলিভার কানের বিদায়ী ম্যাচে যুবভারতীতে খেলেছিল সেই বায়ার্ন মিউনিখ। সেই দলে ছিলেন বিশ্বফুটবলের এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা পাসার ও ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুটো গোল করা টনি ক্রুজ।
জার্মানি বা আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন যে দলই হোক না কেন তার সঙ্গে কলকাতার কানেকশন থেকেই যাবে।