Wriddhiman Saha, Ranji Trophy: আসরে নামলেন হেড কোচ Arun Lal, তবুও নিজের অবস্থানে অনড় ঋদ্ধি
সোমবার সন্ধেবেলা টানা দেড় ঘন্টার মিটিং-এর শেষে, ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দলে রেখেই রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) দল ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) বিতর্কে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল সিএবি (CAB)। মঙ্গলবার সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে (Avishek Dalmiya) ফোন করে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বাংলার হয়ে আর খেলতে চান না। সিএবি তাঁকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়ে দিক। এরপর ঋদ্ধিকে রাজি করানোর জন্য আসরে নেমেছেন দলের হেড কোচ অরুণ লাল (Arun Lal)। তবে পাপালি কিন্তু এখনও নিজের পুরনো অবস্থানে অনড় রয়েছেন। ঋদ্ধি ও তাঁর পরিবারের স্পষ্ট দাবি অন্যতম যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
সিএবি ফের বরফ গলাতে বলে সূত্রের খবর। ঋদ্ধির সঙ্গে ফোনে কথাও হয় কোনও কোনও সিএবি কর্তার। যার পর সিএবি আশাবাদী, যে ঋদ্ধিমানের মন পরিবর্তন করা গেলেও যেতে পারে। কারণ সিএবি কর্তারাও ভাল করে বুঝতে পারছেন যে, ঋদ্ধিমান বাংলা ছেড়ে চলে গেলে বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থাকেই লজ্জায় পড়তে হবে। এমনকী ঋদ্ধির মান ভাঙতে আসরে নামলেন বাংলা কোচ অরুণ লালও। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন। বঙ্গ কোচ নাকি ঋদ্ধিকে বলেন, যে আরও একবার সিদ্ধান্তটা ভেবে দেখার জন্য। তবে ঋদ্ধিমানের ঘনিষ্ঠমহলে খবর নিয়ে যা জানা গেল, তাতে ঋদ্ধি নিজের স্টান্সে এখনও অনড়। তাঁর স্পষ্ট দাবি, অন্যতম যুগ্ম সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ দিন অরুণ লাল বলেন, "ও কোয়ার্টার ফাইনালের দলে আসাটা দুর্দান্ত ব্যাপার। খুব ভাল অন্তর্ভুক্তি। ও অটোমেটিক চয়েস। আমি ওকে দাদা-র মতো, একজন বন্ধুর মতো বোঝানোর চেষ্টা করেছি। দাদা হিসাবে ঋদ্ধিকে বলব, বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি জেতানোর সুযোগ দারুণ ব্যাপার। খেলোয়াড় না খেললে তার গুরুত্ব শূন্য। আমাদের হাতে রয়েছে তিনটি ম্যাচ। আমি বলব মাঠে নামো। রাজ্যের জন্য নিজেকে উজাড় করে দাও।"
সোমবার সন্ধেবেলা টানা দেড় ঘন্টার মিটিং-এর শেষে, ঋদ্ধিকে ও মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দলে রেখেই রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) দল ঘোষণা করা হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল গত ঋদ্ধিকে খেলানোর জন্য নাকি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। তবে অন্যদিকে আবার শোনা গিয়েছে যে ঋদ্ধির সঙ্গে নাকি সিএবি-র কোনও কর্তা যোগাযোগই করেননি। সেটা নিয়েও তাঁর আক্ষেপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঋদ্ধি সেটা ভালভাবে নেননি। অপমানিত বোধ করে তিনি জানিয়ে দেন, বাংলার হয়ে আর খেলবেন না। ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলার পর তাঁকে বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে। যে তাঁকে কথা শুনিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে তাঁর অবস্থান বদলাবে না।
এখন এই বিতর্কের জল কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: IPL 2022: Punjab Kings-এ ব্রাত্য Ishan Porel, ক্ষোভে ফুঁসছে বঙ্গ শিবির