দুমিনি-মিলারের রেকর্ড পার্টনারশিপ দিয়ে প্রোটিয়াদের বিজয় অভিযান শুরু
দক্ষিণ আফ্রিকা- ৩৩৯/৪ । জিম্বাবোয়ে-২৭৭ (৪৮.২ ওভার) । দক্ষিণ আফ্রিকা ৬২ রানে জয়ী
দক্ষিণ আফ্রিকা- ৩৩৯/৪
জিম্বাবোয়ে-২৭৭ (৪৮.২ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬২ রানে জয়ী
ওয়েব ডেস্ক: সবার নজর তখন অ্যাডিলেডে এশিয়া মহাযুদ্ধের দিকে। নিঃশব্দে তখন হ্যামিলটনে দ্বৈরথে আফ্রিকার দুই দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবোয়ে। হ্যামিলটনে এই ম্যাচের শুরুতেই চমকে দেন জিম্বাবোয়ের বোলাররা। একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে নামী অর্ডার ব্যাটিংলাইন আপকে ধসিয়ে দেয় অনামী জিম্বাবোয়ে পেস অ্যাটক। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার আমলা (১১), কুইন্টন ডি কক (৭)। এরপর দুপ্লেসিসের আউটের পর শুরুটা ভাল করেও ফিরে যান এবি ডিভিলেয়ার্স (২৫)। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর তখন ৪ উইকেট ৮৩। সেখান থেকেই শুরু করেন ডেভিড মিলার-জে পল দুমিনি। ১৭৮ বল খেলে মিলার-দুমিনি জুটি পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছেদ্য ২৫৬ রান যোগ করেন। একেবারে খারাপ অবস্থা থেকে দাঁড়িয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩৯ রানে পোঁছে দেন মিলার-দুমিনি। মিলার করেন ৯২ বলে অপরাজিত ১৩৮ রান। মারেন ৭টা বাউন্ডারি, ৯টা ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে, দুমিনি ১০০ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৯টা বাউন্ডারি, ৩টা ওভার বাউন্ডারি। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা বুঝিয়ে দিল টপ-মিডল অর্ডার ব্যর্থ হলেও অলরাউন্ডার ঠাসা লোয়ার অর্ডার তাদের বড় রানে নিয়ে যেতে পারে।
৩৩৯ রান তাড়া করে জিম্বাবোয়ে হারিয়ে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এমন আশা কেউ করেনি। বাস্তবে অঘটনও ঘটেনি। কিন্তু ধোনি, মিসবা, গেইলদের কাছে ভাল খবর হল জিম্বাবোয়ের মাসাকাদজা (৮০), চামু চিবহাবা (৬৪)-রা ডেল স্টেইনকে সমস্যায় ফেললেন। ৯ ওভারে বল করে স্টেইন দিলেন ৬৪ রানে নিলেন ১ উইকেট। ৪ উইকেটে ২১৪ রান থেকে জিম্বাবোয়ে অল আউট হয়ে যায় ২৭৭ রানে। জিম্বাবোয়ে বুঝিয়ে রাখল প্রতিযোগিতায় অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা তাদের আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে ২২ ফেব্রুয়ারি।