ঘরে খাটে ভাই-বোনের নিথর দেহ, পুকুরে মিলল দাদাকে! ৩ ভাইবোনের রহস্যমৃত্যু
পাড়ার থেকে একটু দূরে একটি পুকুর থেকে সজল চৌধুরীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই দেহ নিয়ে এসে পুলিস ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজা খুলতেই আরও ২ ভাইবোনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
বরুণ সেনগুপ্ত: বেলঘরিয়ায় ৩ ভাইবোনের রহস্যমৃত্যু। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ভাইবোনকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে দাদা। কামারহাটি পুরসভা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড, বেলঘড়িয়া প্রিয়নাথ গুহ রোডের একটি আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন ৩ ভাইবোন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রিয়নাথ গুহ রোডের ছায়ানীড় আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভাড়া থাকতেন ৩ ভাইবোন। আড়াই বছর ধরে ভাড়া ছিলেন তাঁরা। বিমল চৌধুরী, সজল চৌধুরী ও দিদি রানু চৌধুরী ৩ জন ভাড়া থাকতেন। এদিক সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথমে পাড়ার থেকে একটু দূরে একটি পুকুর থেকে সজল চৌধুরীর দেহ উদ্ধার হয়। এরপর ওই দেহ উদ্ধার করে পুলিস যখন আবাসনে নিয়ে আসে, তখন দেখা যায় ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। সেই বন্ধ দরজা খুলতেই আরও ২ ভাইবোনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। খাটের উপর পড়েছিল দেহ দুটি।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, ঘরের মধ্যে ভাই-বোনকে খুন করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ডুব দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দাদা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাজারে প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল সজলবাবুর। তিনি আঁকার কাজ করতেন। মনে করা হচ্ছে, ধার দেনার জন্যই অসুস্থ ভাই-বোনকে খুনের পর আত্মঘাতী হন সজল চৌধুরী।
আরও পড়ুন, কারণ ঘিরে রহস্য, মেয়ের বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়ি গিয়ে খুন জামাই!