Jalpaiguri: জঙ্গল ছেড়ে শহরে ভালুক! সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি, বইমেলা বন্ধের নির্দেশ
ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনভর চলেছে তল্লাশি। অবশেষে সিসিটিভি ক্যামেরা ধরা পড়ল ভালুকের ছবি। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এলাকায় মাইকিং করছেন বন দফতরের কর্মীরা। স্রেফ তিস্তা উদ্যানই নয়, আপাতত বইমেলাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। তুমুল আতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে তিস্তা উদ্যান। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জেলাশাসকের বাংলো। এদিন সকালে এই তিস্তা উদ্যানে প্রবেশের পথে এক অজানা প্রাণীর রক্তমাখা পায়ে ছাপ দেখতে পান উদ্যানের কর্মীরাই। খবর দেওয়া হয় বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী বিভাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রামশাই, লাটাগুড়ি-সহ বনবিভাগের বিভিন্ন রে়ঞ্জের বনকর্মীরা। তিস্তা উদ্যানের ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে শুরু হয় চিরুনী তল্লাশি। বাজি ফাটানো হয় জেলাশাসকের বাংলো ও সার্কিট হাউসের পিছনে করলা নদীর পাড়ে। কিন্তু ভালুক বা অন্য় কোনও প্রাণীর দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: Kultali : কোথায় লুকিয়ে বাঘ? খাঁচা পেতে অপেক্ষায় বনকর্মীরা
এদিকে ওই পায়ের ছাপটি আদৌ ভালুকের কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান পশু চিকিৎসকরা। আগামী কয়েকদিন তিস্তা উদ্যান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। উদ্যান লাগোয়া এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও আলো লাগানোর নির্দেশ দেন বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এলাকায় শুরু হয় মাইকিং-ও।
বন দফতর সূত্রে খবর, সন্ধ্যার দিকে তিস্তা উদ্যান লাগোয়া এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ভালুকের ছবি ধরা পড়েছে। ভালুক ধরতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে আবার করলা নদী পাড় লাগোয়া ফণীন্দ্র দেব বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে বইমেলা। আপাতত সেই মেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।