Jalpaiguri: অ্যাম্বুল্যান্স কোথায়? 'বিনা চিকিৎসা'য় করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, হাসপাতালে ধুন্ধুমারকাণ্ড
বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যাম্বুল্যান্স কোথায়? প্রায় ঘণ্টা চারেক অপেক্ষা করতে হল পরিবারের লোকেরা। কার্যত 'বিনা চিকিৎসা'য় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়লেন করোনা রোগী! ওয়ার্ড মাস্টারকে কাঠগড়ায় তুললেন নিহতের পরিজনেরা। তাঁকে ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়়াল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনল পুলিস।
ঘটনাটি ঠিক কী? জলপাইগুড়ির জয়পুর চা বাগানে বাসিন্দা সমীর মুণ্ডা। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। ঘড়়িতে তখন ভোর পাঁচটা। এদিন সকালে তাঁকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে করোনা টেস্ট করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর যথারীতি রোগীকে বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রায় চার ঘণ্টার অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায় বসতে থাকতে হয় তাঁদের। রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। শেষপর্যন্ত যখন অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছয়, ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ওই করোনা রোগী।
আরও পড়ুন: Bishnupur: টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে পুলিস হেফাজতে শ্যামাপ্রসাদ, আচমকাই প্রাক্তণ মন্ত্রীর কাছে সৌমিত্র
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হন চা বাগানে অন্যন্য় শ্রমিক, তাঁদের পরিবার লোক, এমনকী স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই মারা গিয়েছেন সমীর মুণ্ডা। ওয়ার্ড মাস্টার কুলীন সিনহাকে ঘেরাও করে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযোগ দায়ের করা হয় কোতুয়ালি থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)