মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু নববধূর; সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা দাবি স্বামীর
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়ার জয়িতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় দমদম পাইকপাড়ার রাহুল পোদ্দারের। এরপরেই ৪ মার্চ হিমাচলে বেড়াতে যান ওই দম্পতি। হিমাচল পুলিস সূত্রে খবর কল্পায় সেলফি তোলার সময়ে পাহাড় থেকে পা হড়কে পরে যান জয়িতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হিমাচলে খাদে পড়ে মৃত্যু হল এক বাঙালি মহিলার। ৪ মার্চ হিমাচলে মধুচন্দ্রিমায় যান আগরপাড়ার দম্পতি। সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পরে মৃত্যু হয়েছে এমনটাই অনুমান পুলিসের।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়ার জয়িতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় দমদম পাইকপাড়ার রাহুল পোদ্দারের। এরপরেই ৪ মার্চ হিমাচলে বেড়াতে যান ওই দম্পতি। হিমাচল পুলিস সূত্রে খবর কল্পায় সেলফি তোলার সময়ে পাহাড় থেকে পা হড়কে পরে যান জয়িতা। মৃতের পরিবারের তরফে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ওই তরুণীর স্বামীকে। মেয়ের বাড়ির অভিযোগের আঙ্গুল স্বামীর দিকেই। যদিও ছেলেকে নির্দোষ দাবি করেছে রাহুলের পরিবার।
আরও পড়ুন: পণ্যবাহী জাহাজের প্রোপেলারের আঘাত, মারাত্মক আহত ৯ ফুটের গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিস। ৫০০মিটার নিচে পরে যায় ওই বধূর দেহ। সেখান থেকে তার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটি দুর্ঘটনাপ্রবন বলেই জানা গেছে। এই কথা না জানার ফলেই সেখানে পৌঁছে যায় ওই দম্পতি এমনটাই মনে করছে পুলিস। দুর্ঘটনার সময়ে তই মহিলার সঙ্গে তার স্বামী ছিলেন। তার দাবি, ছবি তোলার সময়ে পা হড়কে যায় জয়িতার।
জয়িতা দাসের দিদি মৌমিতা দত্ত জানিয়েছেন যে হিমাচল প্রদেশের পুলিস তাঁদের ফোনে করে জানিয়েছে যে তার বোন পাহাড় থেকে পরে গেছেন এবং তারা যেন যত তারাতারি সম্ভব ঘটনাস্থলে আসেন। দেহের পোস্টমর্টেম হবে বলেও জানানো হয় তাঁদের। জেলা হাসপাতালে মৃতদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাহাড়ের ধারে ছবি তুলতে যেতে কেন দেওয়া হল সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার দিদি।