Malda: আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির, বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস
পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৃণালিনী মন্ডল মাইতি বার বার জড়িয়েছেন বিতর্কে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরাতন মালদা (Old Malda) পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরের মধ্যেই সভাপতি তথা মালদা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভানেত্রী মৃণালিনী মন্ডল মাইতির অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি ভাইরাল হতেই হতবাক ব্লক আধিকারিকরাও। জেলার প্রথম সারির নেত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওযায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব। যদিও এই ফটোর সত্যতা আমরা যাচাই করিনি।
আরও পড়ুন: Malda: আগ্নেয়াস্ত্র নয়, খেলনা বন্দুক; দলের অন্দরে ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ মৃণালিনীর
পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৃণালিনী মন্ডল মাইতি বার বার জড়িয়েছেন বিতর্কে। বিডিও (BDO) অফিসের মধ্যে সরকারি কর্মীকে মারধর করা থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধেও। এবারে সরকারি অফিসের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তার ছবি ভাইরাল হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। মালদার বিজেপি (BJP) সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ১১ বছরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদাকেও বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়েছে শাসক দল। ওদের অফিসে এটাই কালচার। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোম এবং একে ৪৭ (AK 47) পাওয়া যেতে পারে। এটাই ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি চলে যাবার ভয়ে পুলিশ প্রশাসন চুপ করে আছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Miss Universe-র জগতে ফিরছেন Urvashi Rautela
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করাটা সঠিক নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা নাকি আসল তা পুলিশ অনুসন্ধান করে বলবে। তবে ছবিতে দেখে এটি আসল আগ্নেয়াস্ত্র বলেই মনে হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। এর ফলে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে বার বার মৃণালিনী মন্ডল মাইতি কে ফোন করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক পঞ্চায়েত প্রধানের দেওরের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করে। আবার অত্যাধুনিক বন্দুক হাতে জেলার প্রথম সারির নেতার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।