Malda: অপহরণ করে বিক্রির চেষ্টা, মালদার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার বিহার থেকে
পুলিস সূত্রে জানা গেছে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বিক্রী করার উদ্দেশ্যে বিহারে নিয়ে গিয়েছিল ওই চারজন। সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃত চার যুবকের নাম, আকবর আলি, গুলজার, চিরণ পাশওয়ান এবং মনোজ দাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দশম ছাত্রীকে অপহরণ করে বিক্রী করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল চার যুবক। তবে শেষরক্ষা হল না। পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় অপহরণের সঙ্গে অভিযুক্ত চারজন। উদ্ধার হয় ওই নাবালিকা দশম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সমগ্র ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের সদলিচক এলাকার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে চারজন যুবক। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারের কাটিহারের আমদাবাদ এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বিক্রী করার উদ্দেশ্যে বিহারে নিয়ে গিয়েছিল ওই চারজন। সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃত চার যুবকের নাম, আকবর আলি, গুলজার, চিরণ পাশওয়ান এবং মনোজ দাস।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতদের গ্রেপ্তারের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর গিয়াসউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা কাটিহার জেলার আমদাবাদ এলাকায় যায়। সেখান থেকে হাতে-নাতে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিস। দুই জন অভিযুক্ত বাঁচার জন্য স্থানীয় নয়ানজুলিতে ঝাঁপ দেয়। অভিযুক্তদের ধরতে নয়নজলিতে ঝাঁপ দেয় সিভিক ভলেন্টিয়াররা।
আরও পড়ুন: CBI In Bogtui: 'শকিং' বগটুই গণহত্যার তদন্তে SIT-কে তুলোধনা, হাইকোর্টের রায়ের ১০ দিক
ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ওই নাবালিকা ছাত্রীকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিস। এই চারজন যুবকের পেছনে আরও বড় কোন গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টা পূর্ণাঙ্গ ভাবে খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। এলাকা জুড়ে পুলিসি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান নাবালিকা মেয়েকে বিক্রী করার উদ্দেশ্যে চারজন যুবক অপহরণ করে বিহারের কাটিহার জেলার আমদাবাদ এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল। দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে সেই এলাকা থেকে চারজন যুবক সহ ওই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃত চার যুবককে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।