WATCH: কচুরির সঙ্গে ডাল কই? হুগলিতে মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর,মালিককে বেধড়ক মার!
হুগলি ঘাট স্টেশন লাগোয়া ওই মিষ্টির দোকানটি শতাব্দী প্রাচীন। ঘটনার পর থানার ফোন করেন দোকানের মালিক। পুলিসকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখান তিনি।
বিধান সরকার: কচুরি আছে, কিন্তু ডাল শেষ! কেন? মিষ্টির দোকানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালালেন ক্রেতা। বেধড়ক মারধর করলেন দোকান মালিককেও! সেই ছবি ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায়। ধুন্ধুমারকাণ্ড হুগলিতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হুগলি ঘাট স্টেশন লাগোয়া ওই মিষ্টির দোকানটি শতাব্দী প্রাচীন। ঘড়িতে তখন ১০টা। এদিন সকালে স্থানীয় একটি পুজো কমিটির তরফে শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল এলাকায়। ওই মিষ্টির দোকানে ১৬০টি কচুরি অর্ডার দিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। সেইমতো কচুরি তৈরি করা হচ্ছিল। ফলে আরও যাঁরা কচুরি কিনতে এসেছিলেন, তাঁরা দোকানে অপেক্ষা করছিলেন। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।
আরও পড়ুন: Coal Smuggling: সিবিআই তদন্তের মাঝেই দুধের কন্টেনারে কয়লা পাচার! আসানসোলে গ্রেফতার ১
এদিন সকালে ওই মিষ্টির দোকানে কচুরি কিনতে যান স্থানীয় মুরগি বিক্রেতা শেখ জাফরের দাদা। তাঁকেও যথারীতি অপেক্ষা করতে বলেন দোকানের কর্মীরা। জানানো হয়, দোকানের কচুরি থাকলেও, ডাল শেষ! এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। তারপর? অভিযোগ, দাদার সঙ্গে বচসা চলাকালীন ওই মিষ্টির দোকানে চড়াও হন জাফর। দোকান মালিককে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এমনকী, ভেঙে দেন শো-কেসও! এই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
কচুরির সঙ্গে ডাল কই? হুগলিতে মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর,মালিককে বেধড়ক মার!#zee24ghanta pic.twitter.com/a4D2e7VMRF
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) September 12, 2022
থানায় খবর দেন দোকানের মালিক তপন দাস। এরপর যখন পুলিস আসে, তখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখান তিনি। যদিও মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখ জাফর। তাঁর দাবি, বচসার সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে শো-কেসের উপর পড়ে যান তিনি। কাঁচে লেগে হাতও কেটে গিয়েছে। এদিকে ওই মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে নালিশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকী ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, মিষ্টির দোকানের কর্মচারীদের ব্যবহার নাকি অত্যন্ত খারাপ!
আরও পড়ুন: Malda Student Missing: ফের অপহরণ? মালদহে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
এর আগে, ভরদুপুরে গুলি চলেছিল ব্য়ারাকপুরের বিরিয়ানির দোকানে। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন একজন ক্রেতা ও দোকানের এক কর্মীরা। ডি বাপি বিরিয়ানি' নামে ওই দোকানটি ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের উপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার দিন বাইকে চেপে ব্য়ারাকপুরের দিক ৩ দুষ্কতী ওই দোকানের সামনে আসে এবং এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রায় ৭ রাউন্ড গুলি চলে। এরপর বারাসাতের দিকে চলে যায় হামলাকারীরা। সকলেই মাথায় হেলমেট ছিল। ফলে কাউকে চেনা যায়নি। বস্তুত, ওই দোকানটিকে নাকি আগেও হামলা হয়েছিল। মালিকের দাবি, ৭-৮ বছর আগে দোকানে বোমা ছুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা। ভরদুপুরে শুটআউটের ঘটনার রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।