কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতি

নাবালিকার বাবা এবং মাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বলা হয় তিনি একজন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা। তার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। ওই যুবকের নাম আনন্দ দাস। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার কৈথড় গ্রামে। নাবালিকার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার মশাগাঁ গ্রাম। অভিযোগ পেয়ে পুলিস শুরুতে দেরি করলেও পরে বিষয়টি জটিল আকার নিতে পারে ভেবে যুবককে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়।

Updated By: Oct 29, 2022, 08:33 AM IST
কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতি

কিরণ মান্না: খোদ শাসকদলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে নাবালিকা তথা নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে বাড়ি গিয়ে নাবালিকার বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে নাবালিকাকে স্বদলবলে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে বিজয়া দশমীর দিন অভিযুক্ত নেতা তার সঙ্গীদের নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হাজির হয়। অভিযোগ নাবালিকাকে আগে থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল সে। ওই রাতেই জোর করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন নাবালিকার বাবা। এরপরেই অভিযুক্ত মারধর করে ওই নাবালিকার বাবাকে। এরপরে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর বয়সি ওই যুবকের বিয়ে করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নাবালিকার পরিবার।

একই সঙ্গে তাঁর বাবা এবং মাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বলা হয় তিনি একজন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা। তার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। থানা পুলিশ আদালত কোনও কিছুই কাজ করবে না। এই বক্তব্য জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন নাবালিকার বাবা গদাধর ভূঁইঞ্যা।

জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম আনন্দ দাস। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার কৈথড় গ্রামে। তিনি এক নম্বর কসবা অঞ্চলের যুব সভাপতি বলেও জানা গিয়েছে। নাবালিকার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার মশাগাঁ গ্রাম। অভিযোগ পেয়ে পুলিস শুরুতে দেরি করলেও পরে বিষয়টি জটিল আকার নিতে পারে ভেবে যুবককে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়।

আরও পড়ুন: Naihati Electrocution: কালীপুজোর বিসর্জনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের, নৈহাটিতে ধু্ন্ধুমার

শুক্রবার দুপুরে ওই যুব নেতার বাড়িতে পৌঁছায় দুই থানার পুলিস বাহিনী। কিন্তু পুলিস গিয়ে তার বাড়িতে কাউকে খুঁজে পায়নি বলেও জানা গিয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেতার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। অন্যদিকে নাবালিকার বাবা এবং মা সহ তার গোটা পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন।

এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে এলাকায়। বিজেপির তরফে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে যেখানে শাসকদলের নেতাদের হাতে নাবালিকা নারীরা সুরক্ষিত নয়। সেখানে সরকার কতটা সুরক্ষা দেবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে পুলিস প্রশাসন।

শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর শাস্তি হবে এবং পুলিস নিজের মতো কাজ করবে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)    

.