বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ
বিয়ের সময় নগদ কিছু টাকা না দিলে ও তখন প্রচুর সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিলো। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে বরুণ সোমাশ্রীকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার চাপ। গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফলতার দীঘিরপাড় এলাকায়। মৃতের নাম সোমাশ্রী পুরকাইত।
প্রায় আট বছর আগে ফলতা থানার দীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা বরুণ পুরকাইতের সঙ্গে রামনগরের পানা গ্রামের সোমাশ্রী কাঞ্জীর বিয়ে হয়।সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁদের। বরুণ পেশায় মটর মেকানিক। বাবার গ্যারেজে কাজ করেন বরুণ। পরিবারের দাবি, প্রথমদিকে দুজন বেশ সুখীই ছিল। তাদের ৬ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অজ্ঞান মেয়ের জ্ঞান ফেরাতে গিয়েই মা ঝলসে দিল মুখ!
বিয়ের সময় নগদ কিছু টাকা না দিলে ও তখন প্রচুর সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিলো। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে বরুণ সোমাশ্রীকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। এই নিয়ে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো। বরুণ সোমাশ্রীকে মারধরও করত বলে অভিযোগ। সোমাশ্রী বেশ কয়েকবার বাপেরবাড়িও চলে আসেন। তবে বরুণ তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফের নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কোন পথে রথযাত্রা? আজ প্রশাসন-বিজেপি বৈঠক লালবাজারে
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেয়ে বাপেরবাড়িতে ফোন করে অনেকক্ষণ কথা বলেন। রাত নটার সময় বরুণ ফোন করে জানান, সোমাশ্রী গায়ে আগুন দিয়েছেন। স্থানীয়রাই সোমাশ্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সোমাশ্রীর। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার সময়েও বরুণের পরিবারের কেউ তাঁকে দেখতে যাননি। শ্বশুর বাড়ির পরিবারের ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।