বিচার প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরে চলায় কোর্টেই নিজের উপর ব্লেড চালাল অভিযুক্ত
প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে আদালত চত্বরে৷ অভিযুক্ত দীনেশ বর্মন বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এদিনের ঘটনা দেশের বিচার ব্যবস্থায় দেরি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় ভরা আদালতেই ধারালো ব্লেড দিয়ে নিজের বা হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত করল এক অভিযুক্ত৷ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন জেলা আদালতের জিআরও দপ্তরের কর্মীরা৷ তবে প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে আদালত চত্বরে৷ অভিযুক্ত দীনেশ বর্মন বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এদিনের ঘটনা দেশের বিচার ব্যবস্থায় দেরি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- এক্সক্লুসিভ: ‘দম থাকলে সামনে এসে লড়ে দেখান’, গুরুংকে চ্যালেঞ্জ তামাংয়ের
জানা গিয়েছে ২২ মাস আগে স্ত্রীকে নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে পুলিস গ্রেফতার করে দীনেশ বর্মন নামে ওই যুবককে ৷ বছর চল্লিশের দীনেশ পেশায় ছিলেন কৃষিজীবী ৷ তাঁর বাড়ি বামনগোলা থানার ডাকাতপুকুর গ্রামে ৷ এই ঘটনায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির তরফে বামনগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে বামনগোলা থানার পুলিস৷ দীনেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৪৯৮ (এ), ৩০৭এ, ৩০২ ধারায় জামিন অযোগ্য মামলা রুজু করা হয় ৷ তাঁকে জেল হেফাজতে রেখে জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম কোর্টে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া ৷ এদিন এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল ৷ সেই মতো তাঁকে জেলা সংশোধনাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ নির্দিষ্ট সময়ে তাঁকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন নি৷ এমনকী সাক্ষীরাও আদালতে উপস্থিত হয়নি৷ ফলে দীনেশকে ফের আদালত থেকে হাজতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয়৷ তখনই আদালতের মধ্যে পকেট থেকে ধারালো ব্লেড বের করে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকেন দীনেশ৷ এই ঘটনায় নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন৷ পরে তাঁরা কোনও রকমে দীনেশকে রক্ষা করেন ৷
আরও পড়ুন- পাহাড়ে মমতা, সর্বদল বৈঠকের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
সংশোধনাগার থেকেই তিনি ব্লেড নিয়ে আদালতে এসেছেন৷ সেখানে দীনেশ কীভাবে ব্লেড পেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।