Barasat: কোর্টেই খুনের হুমকি 'ধর্ষিতা' নাবালিকাকে! মিথ্যা সাক্ষী দিতে হবে, নাহলে...
Barasat: বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাসের দাবি বিচারকের সামনে এসে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে সময় বিচারক ঘটনা জানতে চাইলে নাবালিকা ছাত্রী দাবি করেন, কোর্ট চত্বরের ভিতরেই অভিযুক্ত জাকির মণ্ডলের দুই জন বন্ধু তাঁকে ও তাঁর মাকে খুনের হুমকি দেয়।
মনোজ মণ্ডল: ধর্ষিতা নাবালিকাকে কোর্ট চত্বরে খুনের হুমকি অভিযুক্তের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ বিচারকের। পাশাপাশি পুলিসকে নাবালিকার পুলিসি নিরাপত্তার নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে বনগাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী প্রলোভন দেখিয়ে গোপালনগর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নবম শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই মর্মে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত জাকির মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে অভিযুক্ত জাকির মণ্ডল জেল হেফাজতে আছে। শনিবার এই ঘটনার প্রথম সাক্ষী দানের দিন ছিল। সেই মতো আদালতে উপস্থিত হয় নাবালিকা ও তাঁর মা।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাসের দাবি বিচারকের সামনে এসে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে সময় বিচারক ঘটনা জানতে চাইলে নাবালিকা ছাত্রী দাবি করেন, কোর্ট চত্বরের ভিতরেই অভিযুক্ত জাকির মণ্ডলের দুই জন বন্ধু তাঁকে ও তাঁর মাকে খুনের হুমকি দেয়। বলা হয় আদালতে মিথ্যে সাক্ষী না দিলে নাবালিকা এবং তাঁর মা কোর্ট চত্বর থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না। এরপর বিচারক আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখেন বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয় গোপালনগর থানার ওসি অসীম পালকে। সমীর বাবুর দাবি পুলিসকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কিত বনগাঁ থানার বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা ও তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন:Pradip Bhattacharya: 'মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে আমাদের'! বিস্ফোরক প্রদীপ...
উল্লেখ্য, গত বছর নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ। আর তাতে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশী দাদা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৭ বছরের নাবালিকার শরীরে হঠাত্-ই শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই নাবালিকাকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। তারপরই গোবরডাঙা থানার দারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার।
অভিযোগ, নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বছর ৪২-এর এক যুবক। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। আর তাতেই গোটা ঘটনার কথা সামনে আসে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বেরগুম বেলতলা ব্রাহ্মণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত সুনীল রায় নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।