মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তত্পর প্রশাসন, শুরু বালি খাদান-অভিযান
বুধবার পূর্ববর্ধমানের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই বালি খাদানে অভিযান চালায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই অবৈধ বালি পাচার রুখতে তত্পর প্রশাসন। মঙ্গলবারের নির্দেশের পরই বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় একটি বালি খাদান বন্ধ করে দিল মহকুমা প্রশাসন। অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই বৈধ খাদান থেকে অবৈধ উপায়ে বালি পাচার করত খাদান মালিক।
আরও পড়ুন: দল ও প্রশাসন-মেদিনীপুরের সভা থেকে দুপক্ষকেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ মমতার
বুধবার পূর্ববর্ধমানের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই বালি খাদানে অভিযান চালায়। বালি পাচার রুখতে কাটোয়ায় অজয় নদের বিভিন্ন বালি খাদানে অভিযান চালায়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কেতুগ্রামের ব্লক আধিকারিক দুটি অবৈধ খাদান চালানোর জন্য নবগ্রাম ও বেগুনকোলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির রথ রুখতে কেষ্টর গড়ে শুরু সাদা-নীলের খোল, করতাল বিলি
এরপরই সতর্ক হয়ে যায় বালি পাচারকারিরা। বুধবার প্রশাসনিক অভিযানের আগে সংবাদমাধ্যম দেখে অজয় নদের বারান্দা ও সুনিয়া গ্রামের বালি খাদান থেকে শ্রমিক ও মালিকরা গাড়ি ফেলে পালায়। এদিন খাদান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে মহকুমা ভূমি সংস্কার আধিকারিক বলেন, “খাদান মালিকের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে খাদান চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।”
কাটোয়ার অজয় নদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় যথাক্রমে মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অবৈধ বালি খাদানের কারবার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সূত্র বলছে, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও কাটোয়া ব্লকে মোট ৪৩ টি বৈধ বালি খাদান রয়েছে। তাছাড়াও ২৫-৩০টি অবৈধ বালি খাদান এই তিন ব্লকে সমান সক্রিয়। বীরভূম , মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া থেকে লরি চালকরা অজয়ের খাদান থেকে বালি নিতে যায় বলে খবর।