নমো আছেন, আছেন দিলীপ-নাড্ডা, বঙ্গবিজেপির পোস্টারে বাদ পড়লেন শুধু ‘চাণক্যই’,রহস্য কী?

প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে, বাংলায় ভোটের প্রচারে মুখ নয় কেন অমিত শাহ! তাহলেকি মোদীর পেছনে থেকেই কাজ করবেন শাহ?  

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jun 23, 2020, 06:01 PM IST
নমো আছেন, আছেন দিলীপ-নাড্ডা, বঙ্গবিজেপির পোস্টারে বাদ পড়লেন শুধু ‘চাণক্যই’,রহস্য কী?
নিজস্ব চিত্র

অঞ্জন রায়

দলের চাণক্য। নরেন্দ্র মোদীর পরই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড-ও। রাজ্যে যখন গেরুয়ার পোঁচ গাঢ় হয়নি তখন ধর্মতলায় মমতার নাকের ডগায় তাঁকে বাংলা ছাড়ার  হুঙ্কার দিয়েছিলেন। এরাজ্যে বিজেপির শিকড় গভীরে চালিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রধান কারিগর। ২০১৪ সালের পর এবার সেই অমিত শাহের ছবি সরে গেল দলের সব পোস্টার থেকে।

আরও পড়ুন-স্ত্রীকে খুনের ছক থেকে শাশুড়ি-শ্বশুরের প্রতি আক্রোশ! ৫০ পাতার সুইসাইড নোটে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

শ্যামাপ্রসাদের তিরধান দিবসের অনুষ্ঠানের পোস্টারে নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রয়েছেন হাসিমুখে, আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও উপস্থিত। কিন্তু নেই অমিত শাহ। অথচ এক সময়ে মুরলী ধর স্ট্রিটে দলের কার্যালয় থেকে শুরু করে, দলের যেকোনও ক্যাম্পেনে অমিত শাহের ছবি জ্বলজ্বল করতো। মঙ্গলবার ওই পোস্টার এক ঝলক দেখলেই চোখে পড়বে বৈপরীত্যটা।

কেন এমন সিদ্ধান্ত দলের? রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও আর তিনি দলের সভাপতি নেই। তাঁর জায়গায় এসেছেন জে পি নাড্ডা। অমিত শাহ এখন আরও বড়় দায়িত্বে। তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই নিয়মে তিনি পোস্টারে তাঁর থাকার কথা নয়। পোস্টারে না থাকলেও রাজ্য-রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। টানা লেগে থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূল-সহ অন্যান্য দলকে কার্যত মুছে দিয়ে গেরুয়া ঝান্ডা গেড়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহই।  বাংলায় বিজেপির দাঁত ফোটানো তাঁর হাত ধরেই। এই সাফল্য তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে মাইলফলকও বলা যেতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের প্রভাবকে একেবারেই খাটো করা যায় না। তবুও তিনি বঙ্গ বিজেপির প্রধান স্ট্রাটেজিস্ট। তার ছবিই নেই এখন পোস্টারে। 

আরও পড়ুন-ভারত থেকে এবার কাউকে হজে পাঠাবে না কেন্দ্র, ফেরত দেওয়া হবে ২.৩ লাখ পুন্যার্থীর আবেদনের টাকা

গত ৬ বছরে অমিত শাহের প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে দলে। এখন বাংলায় ১৮টি আসন বিজেপির হাতে। বাংলায় যে বিজেপি অন্যের মাটি কাড়তে পারে তা তিনি করে দেখিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কান্ডারী অমিত শাহই। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন।  সেই লড়াইয়ের ব্লু প্রিন্টে অমিত শাহের একটা ভূমিকা থাকবে বলাই বাহুল্য। সূত্রে খবর, ওই নির্বাচনের সময়ে বাংলায় তিনি অফিস করে থাকতেও পারেন। তিনিই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের কান্ডারী। সেই তাঁকেই আর পোস্টারে দেখতে পারবেন না সমর্থকরা। প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে, বাংলায় ভোটের প্রচারে মুখ নয় কেন অমিত শাহ! তাহলেকি মোদীর পেছনে থেকেই কাজ করবেন শাহ?  তবে বিজেপি কর্মীদের একটি বড় অংশের অভিমত, পোস্টার থেকে সরলেও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অমিত। তাঁকে ঘিরেই ২০২১ এর লড়াইয়ে উত্সাহ পাবে দল।

.