Amta Student Leader Death: আনিস খানের খুনের পেছনে কারা?, এসএফআইয়ের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র আমতা
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহরে বিক্ষোভ বাম ছাত্রসংগঠন SFI এর
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে গ্রাম ছেড়েছিল পুলিস। পাশাপাশি এসএফআইয়ের বিক্ষোভে তুলকালাম আমতা থানা। এই মৃত্যুর পেছনে কারা, দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ এসএফআইএর।
এসএফআইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি সামাল দিতে আগে থেকেই আমতা থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিস। খাড়া করা হয় গার্ড রেলও। সেইসব বাধা তুলে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এসএফআই সদস্যরা। উল্টো দিকে তাদের ঠেকিয়ে রাখতে হিমসিম খেয়ে যায় পুলিস। বাঁশ ও লোহার ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর থানার সামনে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
এসএফআইয়ের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সংগঠনের নেতা ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, আপাতত আমরা ৫ দিন সময় দিচ্ছি। থানা ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। ওখানে জল্লাদরা রয়েছে। ওরাই আমাদের সাথীকে খুন করেছে। পোস্টমর্টেম হল, পরিবার জানলই না। ঘরের উপর থেকে আনিসকে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে সে চিত্কার করল না? তাহলে কি আগেই খুন করা হয়েছিল আনিসকে? আরও একটি বিষয়, উপর থেকে তিনজন যখন নেমে আসছে তখন একজন বলেছে স্য়ার কাজ হয়ে গিয়েছে। অর্থাত্ এর সঙ্গে পুলিসের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা চুপ করে বসে থাকব না। একটা ছেলে প্রতিবাদ করেছে বলে মেরে দেবে? এত যোগীর দেশে হয়।
আনিস খান খুনের ঘটনার প্রতিবাদ রবিবার দুপুরে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে বিক্ষোভ দেখাল DYFI র কর্মী সমর্থকরা । এনিয়ে শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন। রবিবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের বিগ বাজারের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভে নামল বাম ছাত্র যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এভাবে খুন হতে হচ্ছে ছাত্র-যুব দের। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বিক্ষোভ হয়েছে বাঁকুড়াতেও।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহরে বিক্ষোভ বাম ছাত্রসংগঠন SFI এর। মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়া চক এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। শহরের রিংরোডের প্রধান অংশে অবরোধ করায় যানজট সৃষ্টি হয় এলাকায়।
এদিকে, আজ আনিস খানের বাড়িতে যান কৌশিক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্য়ায়-সব বেশ কয়েকজন। তাঁরা আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কৌশিক সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, এলাকায় জনপ্রিয় একটা তরতাজা ছেলে মারা গেল। তার জনপ্রিয়তা রাজনৈতিক সমাজের একাংশ ভালো চোখে দেখেনি। তার মানে কি আনিসের মতো ছেলেরা তৈরি হবে না? শুনছিলাম, একটা ফোন করলে ও যেখানে খুশি চলে যেত। মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আমি মনে করি এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। উনি যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে তদন্ত ঠিক দিকে যাবে ও দোষীরা শাস্তি পাবে।
অন্যদিকে, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা এসেছি নিজেদের বিবেকের তাড়নায়। পোস্টমর্টেমের ভিডিয়ো রেকর্ড হওয়ার কথা। এর আগে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করে দুবার সে নিরাপত্তা চেয়েছে। সেটা ও পায়নি। যে পুলিসে নিরাপত্তা দেয়নি তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। তা না হলে সমাজের কাছে একটা ভুল বার্তা যাবে।