Anubrata Mandal: কলকাতার পথে শক্তিগড়ে শুধুই শসা-মুড়ি খেলেন অনুব্রত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে মুখ খুললেন কেষ্ট

Anubrata Mandal: জামিন পাবার পর এই প্রথম কলকাতা যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান চিকিৎসার জন্যই তার কলকাতা যাওয়া। মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়েই তিনি কলকাতা যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য

Updated By: Sep 29, 2024, 08:39 PM IST
Anubrata Mandal: কলকাতার পথে শক্তিগড়ে শুধুই শসা-মুড়ি খেলেন অনুব্রত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে মুখ খুললেন কেষ্ট

অরূপ লাহা: রবিবার সন্ধ্যায় বোলপুর থেকে কলকাতা যাবার পথে শক্তিগড়ে দাঁড়ালেন। শুধু থামলেন না, টিফিনও করলেন। তবে খাবারের বিষয়ে চরম সর্তক অনুব্রত মণ্ডল। চিনি ছাড়া চা আর সঙ্গে শশা দিয়ে মুড়ি খেলেন। এই হল রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কেষ্ট মণ্ডলের টিফিনের মেনু।

আরও পড়ুন-'বৃষ্টি যেই থেমে যাবে.....' বন্যা মোকাবিলায় বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!

জামিন পাবার পর এই প্রথম কলকাতা যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান চিকিৎসার জন্যই তার কলকাতা যাওয়া। মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়েই তিনি কলকাতা যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, বাড়িতে তার দুর্গাপুজো আছে। তাই এইবার কলকাতায় চিকিৎসা করিয়েই তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন। তবে পরে তিনি দলীয় সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। দেখা করবেন অভিষেক ব্যানার্জীর সঙ্গেও।

রাজ্যের বন্য প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, রাজ্যে মারাত্মক বন্যা হয়েছে। মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। সব ঠিক হয়ে যাবে। সবাই ভালো থাকুন। ভালো করে দুর্গাপুজো কাটুক। এখন পর পর উৎসব আছে। দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মী পুজো হবে। তারপর কালী পুজো আছে। আছে ছট ও জগধাত্রী পুজো।

বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি বহাল থাকা নিয়ে কেষ্ট মণ্ডল অবশ্য বেশ রক্ষণাত্মক। তিনি বলেন, আগেও ছিল কোর কমিটি। তখনও আমি জেলা সভাপতি ছিলাম। এখনো আমি জেলা সভাপতি। কোর কমিটি আছে। তবে শনিবার কাজল সেখের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু তিনি বলতে অস্বীকার করেন। বলেন, দলের মিটিংয়ে কী আলোচনা হল তা বাইরে কেন বলবো। তবে এত কিছুর মধ্যেই তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্য বলেন, বীরভূম জেলার পাশাপাশি বর্ধমানও তিনি দেখেন।

কেষ্ট মণ্ডল জেলের যাবার আগে পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা-আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম তিনি দেখতেন। তার উপরেই দলের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সমীকরণ পাল্টে যায় কেষ্টর জেল যাত্রার পর। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি বহাল থাকলেও তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভার দায়িত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধে এই তিন বিধানসভার দায়িত্ব বর্তায়। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে ফলও ভালো হয়।

এদিন আধঘন্টারও বেশী সময় তিনি ছিলেন ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে। তবে ল্যাংচা তো দূরের কথা কোন মিষ্টিই তিনি মুখে তোলেন নি। পুলিসের পাইলট কারের পাশাপাশি আরো দুটি গাড়ি ছিল কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে। পাইলট কার সহ মোট তিনটি গাড়ি ছিল কেষ্ট মণ্ডলের সফরসঙ্গী। গাড়ির চালকের বাঁদিকে ছিলেন তিনি। আর মেয়ে সুকন্যা ছিল পিছনের সিটে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.