নাম না করে শোভনের জন্য দরজা খোলা রাখলেন দিলীপ!
ক্ষোভটা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। এমনটা যে হবে তা আঁচ করতে পেরেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষোভটা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। এমনটা যে হবে তা আঁচ করতে পেরেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অতঃপর, মঙ্গলবার এল সেই দিন। প্রকাশ্যে ‘স্নেহের’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে তাঁকে একাধিকবার সাবধানও করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। সাবধান করার পরও হয়তো নিজেকে শুধরে নেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল বিধানসভা। এদিন সকালে বিধানসভার প্রশ্নোত্তরপর্বে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন শোভন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রীর। এরপর শোভনকে সকাল ১০টা ৪০-এ বিধানসভায় নিজের ঘরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে ঢোকার ৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁর ঘরে ঢোকেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মিনিট দশেক দুজনের মধ্যে একান্তে কথা হয়। তখনই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাজকর্ম নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির হাতে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে যান শোভন।
দলের অন্দরে কানাঘুষোয় একসময় এমনটাও শোনা যায়, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন। প্রশ্নটা জেগেছে আম জনতার মনেও। কিন্তু তবে কী তাই?
২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি তবে পদ্ম শিবিরে শোভন চট্টোপাধ্যায়? রাজনৈতিক মহলে এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। প্রশ্নটা করা হয়েছিল বিডেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও।
কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এক কথায় উত্তর, “কেউ আমাদের দলে আসতে চাইলে, অবশ্যই আসতে পারেন। আমাদের তো কোনও বাধা নেই। তবে একটা বিষয়, আমরা এক্ষেত্রে জাল বিছিয়ে রেখেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এবিষয়ে যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।