শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড গঠন নিয়ে 'সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি'র অভিযোগ অশোকের

"শিলিগুড়ি কি রাজ্যের বাইরে এবং এখানকার নাগরিকরা কি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক? আবার প্রমাণিত হল শিলিগুড়ির প্রতি এই সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ।"

Updated By: May 15, 2020, 11:39 PM IST
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড গঠন নিয়ে 'সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি'র অভিযোগ অশোকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড গঠন নিয়ে 'দ্বিচারিতার' অভিযোগ তুললেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। করোনার জেরে পুরভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রাজ্যের ৯৩টি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভাও। এখন শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক বোর্ডের মাথায় অশোক ভট্টাচার্যকে রাখা নিয়ে আগেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বামেরা সব সময়ই চায় নির্বাচন হোক। সেখানে বিনা নির্বাচনে অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব মেনে নেবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভাকে কেন্দ্র করে 'কূল রাখি না শ্যাম রাখি' দশা বামেদের। এরমধ্যেই রাজ্য সরকারের প্রশাসক বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে নয়া তোপ দাগলেন অশোক ভট্টাচার্য। 

তাঁর অভিযোগ, "আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবং আমার আরও ৬ জন বর্তমান পুর বোর্ডের মেয়র পরিষদ সদস্যদের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য করা  হয়েছে। কিন্তু এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন কাউন্সিলরকেও এই প্রশাসক মণ্ডলির সদস্য করা হয়েছে। অথচ কলকাতা সহ বিভিন্ন পুরসভায় যে প্রশাসক মণ্ডলিগুলি এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে, সেখানে কোথাও বিরোধী দলের কাউকে রাখা হয়নি। তাহলে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে কেন এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত? যে তৃণমূল কাউন্সিলররা যারা গত ৫ বছর ধরে শিলিগুড়ির উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে গিয়েছেন, তাঁদেরকেই প্রশাসক মণ্ডলিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ অন্য পুরসভাগুলিতে বিরোধীদেরকে কোথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শিলিগুড়ি কি রাজ্যের বাইরে এবং এখানকার নাগরিকরা কি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক? রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক, শিলিগুড়ির মানুষের প্রতি অমর্যাদাকর এবং অপমানকর। আবার প্রমাণিত হল শিলিগুড়ির প্রতি এই সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ। তাদের কাছে করোনাভাইরাস মোকাবিলা আসলে অগ্রাধিকার নয়। তাদের মূল বিষয় এই অজুহাতে এক সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি করা।"

অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। যেভাবে রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে, সেইভাবেই শিলিগুড়ির প্রশাসক বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত ১৭ মে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

আরও পড়ুন, করোনায় কলকাতা ছাড়ছেন ভিন রাজ্যের নার্সরা, প্রবল সঙ্কটের মুখে নার্সিংহোমগুলি 

.