SSC Group D: স্বামীর গ্রুপ ডির চাকরি বাতিলের পর থেকেই শুরু অশান্তি, শেষপর্যন্ত চরম পদক্ষেপ নিল স্ত্রী!
বিজেপি হুগলী সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ, এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী। কারণ তারা শুধু চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেনি যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল সেই মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে
বিধান সরকার: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে ১৯১১ জন এসএসসি গ্রুপ ডি কর্মীর। সেই তালিকায় ছিলেন হুগলির বলাগড়ের কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়তের গৌরনই গ্রামের বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ। ২০১৮ সালে গ্রুপ ডি পদের পরীক্ষায় পাস করে তিনি চাকরি করছিলেন ডুমুরদহ ধ্রুবানন্দ হাইস্কুলে। সম্প্রতি তাঁর সেই চাকরি চলে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এনিয়ে স্ত্রী মৌমিতা ঘোষের সঙ্গে তার অশান্তি চলছিল। রবিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে মৌমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন-অধিনায়ক ও ব্যাটার হিসেবে ব্যর্থ মনোজ, ঘরের মাঠে রঞ্জি ফাইনালে বাংলার লজ্জার হার
মৌমিতা ঘোষ বর্তমানে ভান্ডারটিকুরির একটি বেসরকারি কলেজে ডিএলএড পড়ছিলেন। তার মধ্যেই এই কাণ্ড। প্রতাপ ঘোষের ছেলে জানান, বাবা চাকরির জন্য ৭ লাখ টাকা দিয়েছিল। মা দিয়েছিলেন ৮০ হাজার টাকা। চাকরি বাতিল হওয়ার পরও বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা জানান, বিভিন্ন জায়গায় ধারদেনাও হয়ে যায়। আজ সকালে প্রতাপ মাঠে গেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন মৌমিতা।
বিজেপি হুগলী সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ, এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী। কারণ তারা শুধু চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেনি যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল সেই মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অরিজিৎ দাস বলেন, বলাগড়ের কয়েকটা বাড়িতে ইডি সিবিআই রেইড করেছে। তাই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে কথা উঠবে। তবে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হিসেবে এটা জানি যে ওই মহিলা এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হিসেবে সেটা আমরা জানি। বিরোধীরা তাদের অভিযোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ বলাগড়ে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে যেটা হয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। যারা বিজেপিতে গেল তারা ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে সাফ হয়ে গেল আর যারা তৃণমূল করছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। এটা বলা ঠিক নয়। এই ঘটনার জন্য দলকে দায়ী করাও ঠিক নয়।