Balurghat Child Death: বাড়ির পাশেই মিলল অপহৃত শিশুর মৃতদেহ, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন এলাকাবাসীর
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত মানস সিংয়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। তাদের দাবি, এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না অভিযুক্তের পরিবারকে
শ্রীকান্ত ঠাকুর: প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর মিলল বালুরঘাটে অপহৃত শিশুর মৃতদেহ। অভিযোগ, শনিবার সন্ধেয় ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে বালুরঘাট পুরসভা এলাকার এ কে গোপালন কলোনির আট বছরের ওই শিশুকে অপহরণ করে তারই প্রতিবেশী এক যুবক। তার পর থেকেই দীপ হালদার নামে ওই শিশুকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এনিয়ে পুলিসে অভিযোগ করে শিশুটির পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রবিরার সন্ধেয় দীপের বাড়ির পাশের একটি খাঁড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। অপহৃত দীপ হালদারের ঠাকুমার অভিযোগ ছিল, ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে দীপকে ডেকে নিয়ে যায় মানস সিং নামে এক যুবক। তার পর থেকে দীপের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ এলাকার মানুষজন মানস সিংয়ের বাড়ি ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন-ইংরেজদের হারালেই ফাইনালে চলে যাবে ভারত, মহাযুদ্ধের আগে কী বলছেন রোহিত?
পুলিস সূত্রে খবর, ওই শিশুটিকে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল মানসের। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে আটকে রেখেও শিশুটিকে অজ্ঞান করতে পারেনি। তারপরই ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। তাতেই মৃত্যু হয় শিশুটি। মানসকে গ্রেফতার করে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সবকিছু। খুনের পর দীপের মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের খাঁড়িতে ফেলে দেয় মানস।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত মানস সিংয়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এলাকার মানুষজন। তাদের দাবি, এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না অভিযুক্তের পরিবারকে। মন্দির বাদ দিয়ে মানসের বাড়ির বাড়ির বড় অংশই ভেঙে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাচ্চাটির মা সোমা হালদার ও বাবা সঞ্জয় হালদার দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। প্রায় ৫-৬ বছর আগে তাঁরা তাঁদের ছেলে দীপকে ছেড়ে, পরিবার-পরিজন ও এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ কেউ জানেন না, তাঁরা কোথায় গিয়েছেন বা আদৌ কোনওদিন ফিরবেন কিনা ইত্যাদি। তবে তাঁরা একটা ব্যাখ্যা দেন। বলেন, এই এলাকার বহু মানুষ দিল্লিতে বা অন্যত্র কাজ করতে চলে যান এবং অনেক সময়েই আর ফেরেন না। তবে, এক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে কিনা, তা অবশ্য তাঁরা বলতে পারছেন না। পুলিসের দাবি, শিশুটির মা ও বাবা দীর্ঘদিন ধরেই নিখোঁজ। ফলে ওই বাচ্চাটিকে পাচার করে দিতে পারলে তার দাবিদার কেউ না থাকায় গোলমাল হওয়ার সম্ভবানা কম। এমনটাই পরিকল্পনা ছিল মানসের।