Train Derailed: শক্তিগড়ে তেলের ওয়াগনের সঙ্গে ধাক্কা ব্যান্ডেল লোকালের, জানা গেল দুর্ঘটনার কারণ
Train Derailed: এক যাত্রী বলেন প্রায় একই কথা। তিনি বলেন, শক্তিগড় স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি একটু কম হয়ে যায়। তখনই একটা ঝাঁকুনি টের পেলাম। তার পর ট্রেন থেমে গেল। মাথা বের করে দেখলাম সামনের একটি বগি লাই থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পর থেকেই ট্রেন বন্ধ। কিছু লোককে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে
অরূপ লাহা: ট্র্যাক চেঞ্জের সময় একই লাইনে চলে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে লাইনচ্যুত হল যাত্রীবাহী ডাউন ব্যাণ্ডেল লোকাল। বুধবার রাত ৯টা ১৬মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের শক্তিগড় স্টেশনের কাছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোন খবর না থাকলেও ব্যাণ্ডেল লোকালের যাত্রীরা যথেষ্টই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ।
আরও পড়ুন-খোদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা, একের পর এক গাড়িতে আগুন দিল ইমরান সমর্থকরা
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। তাদের উপস্থিতিতেই শুরু হয় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি লাইনে তোলার কাজ। এর জন্য দুর্ঘটনার পর থেকেই ডাউন বর্ধমান- হাওড়া লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। রাত পার হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বভাবিক হয়ে যাবে এমন কোন আভাস যদিও গভীর রাত পর্যন্ত রেল দফতরের কর্তাদের কাছ থেকে মেলেনি ।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন,৩৭৭৮৪ ডাউন বর্ধমান - ব্যাণ্ডেল লোকাল ট্রেনটি রাত ৯টা ১৬ মিনিট নাগাদ শক্তিগড় স্টেশন ঢোকার মুখে দুটো বগি লাইনচ্যুত হয় । ট্রেনটির গতি কম থাকায় বড়সড় কোন বিপত্তি ঘটেনি । ট্রেনের কোন যাত্রী জখম হওয়া বা হতাহতের কোন খবর নেই। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রেলওয়ে ডিভিশনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেচেন। লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি লাইনে তোলার কাজ রাতেই শুরু করা হয়। এই দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছে বর্ধমান হাওড়া ডাউন লাইনে ।
ব্ধমান-হাওড়া রুটে শক্তিগড় স্টেশন থেকে মেইন ও কর্ড লাইন ভাগ হয়ে যায়। এদিনও ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল যখন বর্ধমান থেকে আসছিল তখন শক্তিগড় স্টেশনের আগে ডাউন মেইন লাইনে ওঠার সময়েই ওই দুর্ঘটনা। ওই লাইনে একটি মালগাড়ি ছিল। সেই লাইনেই ব্যান্ডেল লোকাল উঠে পড়ে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ইঞ্জিনের বাঁ দিকের অংশ ধাক্কা লাগে মালগাড়ির সঙ্গে। এরপরই ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল লাইন থেকে নেমে যায়। গত কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেনটি। যে মালগাড়িটির সঙ্গে ব্যান্ডেল লোকালের ধাক্কা লেগেছে সেটি একটি তেলেও ওয়াগব। তাই আগুন লাগলে মারাত্মক কাণ্ড হতে পারত।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন যাত্রী শুভঙ্কর হালদার বলেন, শক্তিগড় স্টেশন ঢোকার মুখে হঠাৎই বিকট শব্দ করে ও ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন থেমে যায়। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ট্রেনে মধ্যে থাকা কামরায় যাত্রীদের আঘাত না লাগলেও ইঞ্জিনের পরে কামরায় থাকা যাত্রীরা অপ্প বিস্তর জখম হন।
অন্য এক যাত্রী বলেন প্রায় একই কথা। তিনি বলেন, শক্তিগড় স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি একটু কম হয়ে যায়। তখনই একটা ঝাঁকুনি টের পেলাম। তার পর ট্রেন থেমে গেল। মাথা বের করে দেখলাম সামনের একটি বগি লাই থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পর থেকেই ট্রেন বন্ধ। কিছু লোককে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে। বাকী আমরা বসে রয়েছি।