পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রের হাতসাফাই, হার মানাবে হিন্দি সিনেমার গল্পকেও!
কিছুদিন আগে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে চন্দননগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাড়ুয়ার বছর একুশের ওই তরুণীর কাছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাত্রী দেখতে এসে শুধু মিস্টিতে মন ভরেনি পাত্রর। যাওয়ার সময় নিয়ে গিয়েছে নতুন মোবাইল, টাকাপয়সাও। চন্দননগরে অভিনব চিটিংবাজিতে হতবাক পাত্রীর মা। তাজ্জব খোদ পাত্রীও। থানায় অভিযোগ দায়ের। চন্দননগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড। টালির চাল আর ক্ষয়ে যাওয়া এই ইটের ঘরটাকেই টার্গেট করে পাত্র পক্ষ। তবে এ পাত্র যে যেসে পাত্র নয়, তা বুঝতে দেরি হয়ে যায় ছাত্রী অনুরাধা সিং ও তাঁর মা নন্দা সিং এর।
কিছুদিন আগে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে চন্দননগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাড়ুয়ার বছর একুশের ওই তরুণীর কাছে। কয়েকদিন কথা বলার পর সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয় যুবক। শুধু তাই নয়, বিশ্বাস আদায়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আর্জিও করে সে। ভরসা পেয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে ওই তরুণীর পরিবার। সুদর্শন, আর্থিক স্বচ্ছলতার ছাপ নিয়ে বুধবার মেয়ের বাড়িতে হাজির হয় পাত্র ও পরিবারের সদস্য। রংচটা ঘরে রঙিন স্বপ্ন দেখেন মা ও মেয়ে। বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে গল্পও জুড়ে দেয় পাত্র ও তার সঙ্গে থাকা মহিলা। এরপরেই কাহানিতে টুইস্ট।
আরও পড়ুন: বন্ধ ঘরে বাড়ির বউ যে রাতে ছেলের সঙ্গে এই কাজ করছেন, তা পাশের ঘরে থেকেও আঁচ পাননি বাবা-মা
মেয়ের বাবা রণজিত্ সিং পেশায় ক্যাটারিং ব্যবসায়ী কাজের সূত্রে গুজরাটে গিয়েছেন, ভাইও বাইরে। বাড়িতে কেউ না থাকায় অতিথিদের আপ্পায়ন করতে মেয়েকেই মিষ্টি আনতে দোকানে পাঠান মা। মিস্টি খেতে খেতে চলে আলোচনা। মেয়েকে দেখার পর পছন্দ হয়েছে বলে জানায় পাত্র ও তাঁর মাসি। এরপর তারা চলে যায়। পাত্র চলে যাওয়ার পরই তরুণী দেখেন তাঁর মোবাইলটি উধাও। মোবাইল খুঁজতে খুঁজতে নজর যায় আলমারিতে। দেখেন আলমারি খোলা। হাওয়া ব্যাগে রাখা পাঁচ হাজার টাকাও। মা ও মেয়ের ব্যস্ততার সুযোগে পাত্র সেজে আসা ব্যক্তি ও তার সঙ্গে থাকা মহিলা প্রথমে মোবাইল ও পরে আলমারিতে থেকে টাকা নিয়ে পালায়।
মা ও মেয়ের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিনব প্রতারণায় তাজ্জব পাড়া প্রতিবেশীরাও।