Kidnap: 'টুকরো টুকরো কেটে পাঠিয়ে দেব', পরিচিতের সাথে আড়াই বছরের মেয়েকে ছেড়েছিল মা, পরের ঘটনা ভয়ঙ্কর!
অভিযুক্ত মইদুল শেখ ও তার আরও ২ বন্ধু মিলে মাসখানেক আগে রেজাউলদের বাড়িতে ভাড়া ছিল। প্রায় মাস তিনেক ভাড়া ছিল তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন : "সাড়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাই। পুলিসকে জানালে আড়াই বছরের মেয়েকে টুকরো টুকরো কেটে পাঠিয়ে দেব।" এমনই ফোন এসেছিল অপহরণকারীদের কাছ থেকে। তারপরই দিনভর তল্লাশি চালিয়ে গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ থেকে অপহৃত শিশুকে (Kidnap) উদ্ধার করল বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার পুলিস। সেইসঙ্গে সামনে এল 'সুপরিচিতের' কুকীর্তি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার খোলাপোঁতা দক্ষিণ মথুরাপুর এলাকায়। আজ আড়াই বছরের ওই শিশুকন্যাকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও মাটিয়া থানার ওসি তাপস ঘোষ। মেয়েকে ফিরে পেয়ে পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবা-মা। ওদিকে পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। খোলাপোঁতার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম মন্ডল। তাঁর আড়াই বছরের একটি মেয়ে আছে। অভিযোগ, রেজাউলের শিশুকন্যাকে খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে দোকানে নিয়ে যায় পূর্ব পরিচিত মইদুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ (Kidnap) চেয়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ফোন করে। তারপর শিশুটিকে নিয়ে পাড়ি দেয় মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে।
অভিযোগ পেয়ে বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নেতৃত্বে এই ঘটনায় তদন্তে নামে মাটিয়া থানার পুলিস। অবশেষে গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকা থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিস। যদিও অভিযুক্ত অপহরণকারী মইদুল শেখ পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মইদুল শেখ ও তার আরও ২ বন্ধু মিলে মাসখানেক আগে রেজাউলদের বাড়িতে ভাড়া ছিল। প্রায় মাস তিনেক ভাড়া ছিল তারা। ২ মাস আগে ওরা খোলাপোতা থেকে চলে যায়। রেজাউলদের বাড়িতে ভাড়া থাকার সময়, ওদের সাথে খুবই সুসম্পর্ক ছিল।
মঙ্গলবার রেজাউলের সাথে দেখা করার নামেই ফের বাড়িতে আসে মইদুল। সেইসময় পূর্ব পরিচিতি ও সুসম্পর্কের বিশ্বাস থেকে নিজের মেয়েকে মইদুলের সঙ্গে ছেড়ে দিয়েছিল রেজাউলের স্ত্রী। খাবার কিনে দেওয়ার নামে রেজাউলের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত মইদুল। সময় পেরিয়ে গেলেও না ফেরায় সন্দেহ হতে শুরু করে বাড়ির লোকের। তারপরই সামনে আসে গোটা ঘটনা। এই ঘটনায় শেখ মইদুল ছাড়া আর কে বা কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।