Purba Bardhaman: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ! কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই নৃশংসভাবে খুন...

Purba Bardhaman: সম্পত্তির দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ। তারই জেরে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করল প্রবীর মণ্ডল(৩২) নামে এক ব্যক্তিকে। মন্তেশ্বর থানার পাকুরমুড়ি গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Updated By: Jun 30, 2024, 10:22 AM IST
Purba Bardhaman: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ! কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই নৃশংসভাবে খুন...
প্রতীকী ছবি

সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: সম্পত্তির দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ। তারই জেরে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করল প্রবীর মণ্ডল(৩২) নামে এক ব্যক্তিকে। মন্তেশ্বর থানার পাকুরমুড়ি গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত আটটা নাগাদ। পাকুরমুড়ি গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার পাশে জমিতে।

খুনের ঘটনাস্থল কাটোয়া থানার অন্তর্গত হওয়ায় কাটোয়া পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, নিহত প্রবীর মণ্ডল কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই তিনি প্রতি শনিবার থেকে বাসে চেপে কলকাতা থেকে পাকুড়মুড়ি গ্রামের বাড়িতে ফিরতেন। অন্যদিনের মত এদিনও বাস থেকে নেমে বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা দূরে দুষ্কৃতীরা প্রবীরকে আটকে ধরে। এবং এলোপাথারি কুপিয়ে গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই প্রবীরের মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। 

কাটোয়া থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় খুনীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। নিহত প্রবীর মণ্ডলের তুতো ভাই সুশান্ত সরকার কাটোয়া থানায় দাঁড়িয়ে বলেন, সম্পত্তির দখলকে কেন্দ্র করে ভাই খুন হতে পারে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।

নিহত প্রবীরদের অনেক পারিবারিক সম্পত্তি আছে। এক প্রতিবন্ধী ভাই ছাড়া বিষয় সম্পত্তি দেখভালের তেমন কেউ নেই। গ্রামে কিছু মানুষের সঙ্গে সম্পত্তির দখল নিয়ে কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল বলে সুশান্ত সরকার জানান। কাটোয়া ও মন্তেশ্বর থানার খুনের ঘটনার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই এক সন্দেহবাজনকে আটক করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিস। 

উল্লেখ্য়, কিছুদিন আগেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন যুবক। মৃত যুবকের নাম রাজকিশোর সিংহ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার জিয়ড়দা গ্রামে। যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃতদেহ তুলতে পুলিসকে বাধা দেন স্থানীয়রা। পুলিস কুকুর এনে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান তাঁরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে গ্রাম লাগোয়া একটি জমিতে ওই যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। যুবকের সারা শরীরে মারধরের দাগ থাকায় এলাকার মানুষ নিশ্চিত তাঁকে খুন করা হয়েছে। এরপরই পুলিস কুকুর এনে ঘটনার তদন্তের দাবিতে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। 

.