Bhadu Seikh Murder: একা রেখে চলে যায় 'সঙ্গী'রা! ভাদু খুনে ‘অন্তর্ঘাত’? উঠছে জোরালো প্রশ্ন
কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত ভাদু শেখের সঙ্গে কয়েকজন ছিল। কিন্তু ঠিক খুনের মুহূর্তেই ভাদু একা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন (Bhadu Seikh Murder)! আর তখনই হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাদু শেখ খুনের (Bhadu Seikh Murder) নেপথ্যে রয়েছে ‘অন্তর্ঘাত’? তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গীরাই কি রয়েছে ‘অন্তর্ঘাত’-এর নেপথ্যে? তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর তাতেই এই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে উঠেছে।
কারণ, সর্বক্ষণ সাত থেকে আটজন 'সঙ্গী' ঘিরে থাকত ভাদুকে। সবসময়ই তারা ভাদুর সঙ্গে থাকত। অথচ সেদিন ঠিক খুনের মুহূর্তেই ভাদু একা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন (Bhadu Seikh Murder)! আর ঠিক তখনই দুটি বাইকে করে এসে পিছন থেকে বোমা মারে হামলাকারীরা। পরে গুলিও চালায়। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে হামলাকারী সোনা, পলাশ, নিউটনের সেই হামলা করার ছবি। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভাদু যে একা রয়েছেন, সেই খবর কেউ পৌঁছে দিয়েছিল হামলাকারীদের?
ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত ভাদু শেখের সঙ্গে কয়েকজন ছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁরা সবাই একসঙ্গে কোথাও চলে যান! হঠাৎ সকলে একসঙ্গে কোথায় চলে গিয়েছিলেন? উঠছে সেই প্রশ্ন। এখন, যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে ভাদু শেখকে খুন (Bhadu Seikh Murder) করা হয়েছিল, সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি সরবরাহ করেছিল হানিফ। ইতিমধ্যেই হানিফকে গ্রেফতার করেছে SIT। যদিও হানিফ জানিয়েছে, ভাদু শেখকে খুনের প্রসঙ্গে কোনও কথা সে জানত না। তার কাছ থেকে এসে একজন অস্ত্র নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এক বছর আগেই টার্গেট ছিলেন ভাদু! গত বছর ভাদু শেখের (Bhadu Seikh) দাদা বাবর শেখ খুন হওয়ার পর প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে ও নিরাপত্তা চেয়ে পুলিসকে চিঠি দিয়েছিলেন ভাদু শেখ। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ও বাবর শেখের খুনের তদন্তে উঠে আসে যে, বাবর নয়, টার্গেট ছিলেন ভাদুই। পলাশ শেখ, সোনা শেখরা তখনই টার্গেট করেছিল ভাদুকে। যারপরই ভাদু শেখের নিরাপত্তায় একজন পিএসও মোতায়নের সুপারিশ করে গত বছর ১৪ জুন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে চিঠি দেন খোদ এসডিপিও। কিন্তু পুলিসের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ভাদুর নিরাপত্তার বিষয়টি পদস্থ কর্তারা গুরুত্ব দেননি!
আরও পড়ুন, 'ভাদু শেখের লোকজনই সেদিন আগুন দিয়েছিল', চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মৃত নাজমার স্বামীর