দাসপুরে সোনা লুঠ মামলায় গ্রেফতার ভারতী ঘোষের স্বামী

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতী ঘোষের নাকতলার বাড়ি-সহ কালিকাপুরের ই এম বাইপাস সংলগ্ন নির্মীয়মাণ বাড়িতেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।

Updated By: Aug 7, 2018, 04:50 PM IST
দাসপুরে সোনা লুঠ মামলায় গ্রেফতার ভারতী ঘোষের স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দাসপুরে সোনা লুঠ ও আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের স্বামী এম ভি রাজু। মঙ্গলবারই জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতী ঘোষের স্বামীকে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দাসপুর সোনা লুঠ মামলার তদন্তের সময়ে সিআইডি-র দল রাজুর নেতাজি নগরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। গ্রেফতারি এড়াতে ভারতীর স্বামী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী নির্দেশে  ১৫ মার্চ পর্যন্ত রাজুকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছিল। তবে তদন্তে সহযোগিতা করার শর্ত দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: অটোয় সজোরে ব্রেক, বরানগরে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু দেড় বছরের শিশুর

সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৬-র নভেম্বরে নোট বাতিলের পর কয়েকজন ব্যবসায়ীর উপর জুলুম করে তাঁদের প্রায় ৭০ কোটি টাকার পুরনো নোট ধরিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকজন পুলিস অফিসার ও কর্মী। তার বিনিময়ে সোনা কিনে বিপুল কালো টাকা সাদা করেন তাঁরা। ভারতী তখন সেই জেলার পুলিশ সুপার। গোটা প্রক্রিয়া তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে তোলাবাজি, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছে সিআইডি। তাছাড়া, দুর্নীতি দমন আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পিছন থেকে শাড়ির আঁচলে টান, তাকাতেই মহিলার সঙ্গে বারাকপুরের কাউন্সিলর যা করলেন...

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতী ঘোষের নাকতলার বাড়ি-সহ কালিকাপুরের ই এম বাইপাস সংলগ্ন নির্মীয়মাণ বাড়িতেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তল্লাশি চালানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকজন পদস্থ পুলিস আধিকারিকের বাড়ি, কোয়ার্টারেও। গ্রেফতার করা হয় ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠ স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমল ঘোড়ইকে।

ভারতীর নাকতলার বাড়িটি তাঁর স্বামী এম ভি রাজুর নামে। বাড়িটির মালিকানা নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা ও জমি-বাড়ির দলিল উদ্ধার করেন তদন্তকারী। এই মামলায় মোট ১২ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সিআইডি নগদ ৬০ লক্ষ টাকা, ২ কেজি সোনা ও নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে।

 

 

.