Jharkhali: ঝড়খালিতে বিজেপি নেতাকে মেরে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, মমতাকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার
আহত অমল মণ্ডলকে আজ হাসপাতালে দেখতে আসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কথা বলেন হাসপাতাল সুপারের সঙ্গেও। এদিন সংবাদমাধ্যমে অগ্নিমিত্রা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি দলের কর্মীদের সাবধান করুন
প্রসেনজিত্ সরদার: রাস্তায় ঘিরে ধরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে বেধড়ক মেরে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঝড়খালিতে ওই মারধরের ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির এখন এলাকার তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও দিলীপ মণ্ডলের দিকে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। আহত ওই নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-৭৫ শতাংশ-ই কাটমানিতে! কাজ কীভাবে হবে? বেঁফাস ওসির মন্তব্যে বিতর্ক
কী হয়েছিল? বিজেপির দাবি, বুধবার রাতে ঝড়খালিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডল। ঝড়খালি কোস্টাল থানা এলাকায় পার্বতীপুর গ্রামে তাদের ঘিরে ধরে মারধর করে বিধান বাইন ও দিলীপ মণ্ডল তার সঙ্গীসাথীরা। তার বাইকে কেড়ে নেওয়া হয়। রাস্তায় ফেলে অমলকে বুকে ফেটে লাথি মারা হয়। মারে চোটে অমলের পাকস্থলী ফেটে গিয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আমাদের ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। মেরে তার পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন নোংরা রাজনীতির জন্য তৃণমূলকে ধিক্কার জানাচ্ছি। অভিযুক্ত বিধান বাইন ও ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে গোটা বাসন্তী স্তব্ধ করে দেব। প্রসঙ্গত, এনিয়ে এলাকার তৃণমূলের কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আহত অমল মণ্ডলকে আজ হাসপাতালে দেখতে আসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কথা বলেন হাসপাতাল সুপারের সঙ্গেও। এদিন সংবাদমাধ্যমে অগ্নিমিত্রা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি দলের কর্মীদের সাবধান করুন। পঞ্চায়েত ভোটের মতো আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলা হলে আমরাও চুপ করে থাকব না। যা হয়ে গিয়েছে তা হয়ে গিয়েছে। চারদিকে থেকে অস্ত্র বোমা উদ্ধার হচ্চেয আমারা সুস্থভাবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে চাইছি।
অন্যদিকে, বিজপির ওই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, অগ্নিমিত্রা দেবী কতদিন রাজনীতি করেছেন জানি না। রাজনীতিতে এক শিক্ষানবিশের এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। তাই ২০২১ সালে সেন্ট্রাল বাহিনীর ঘেরাটোপেও তৃণমূল জয়ী হয়েছে। জয়ের জন্য সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করতে হয় না।