মেয়ে-জামাইকে অপহরণের চেষ্টা শ্বশুরবাড়ির, ধুন্ধুমার

মাসখানেক আগে গোপনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন চৈতন্য ও মোনো। তারপর মন্দিরে সামাজিক বিয়ে সারে যুগল।

Updated By: Nov 24, 2018, 05:20 PM IST
মেয়ে-জামাইকে অপহরণের চেষ্টা শ্বশুরবাড়ির, ধুন্ধুমার

নিজস্ব প্রতিবেদন : নব দম্পতিকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য দুষ্কৃতী হামলা। নব দম্পতিকে না পেয়ে শেষে বরের ভাই ও মাকে অপহরণের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন প্রতিবেশী যুবক। তাঁকে ভোজালির কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হামলার হাত থেকে বাদ পড়েননি মহিলা সহ বৃদ্ধরাও। নব কনের বাপের বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই দুষ্কৃতী হামলার যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

মানিকচকের নাজিরপুরের নিরঞ্জনপুর ভেস্ট পাড়ার বাসিন্দা চৈতন্য মণ্ডল (২৫)-এর সঙ্গে রতুয়া থানার আটগামার মোনো মণ্ডলের দীর্ঘদিনের প্রেম। সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানায় মোনো। জানায় যে সে চৈতন্যকে বিয়ে করবে। কিন্তু চৈতন্যর সঙ্গে মোনোর সম্পর্ক মানেনি তাঁর পরিবার। চৈতন্যর সঙ্গে বিয়ে দিতে একেবারেই নারাজ ছিল মোনোর বাড়ির লোকজন।

আরও পড়ুন, রথযাত্রা নিয়ে দলীয় বৈঠকে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেই হাতাহাতি, তুলকালাম

শেষে মাসখানেক আগে গোপনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন চৈতন্য ও মোনো। তারপর সোমবার ইংরেজবাজারের অমৃতিতে স্থানীয় এক মন্দিরে গিয়ে সামাজিক বিয়েও সেরে ফেলে যুগল। ঝামেলা এড়াতে বিয়ের পর থেকেই গা ঢাকা দেন স্বামী-স্ত্রী। অভিযোগ, তারপর থেকেই মেয়ের খোঁজে বার বার চৈতন্যর বাড়িতে হানা দিচ্ছিল মোনোর বাড়ির লোকজন। চৈতন্যর মা ও ভাই বার বার জানায় যে, যুবলের অবস্থিতির কথা তাঁরা কিছুই জানেন না। কিন্তু, সেকথা বিশ্বাস করেনি মোনোর বাপের বাড়ির লোকেরা।

আরও পড়ুন, রাত ১০টা ২০-র ব্যান্ডেল লোকাল, চলন্ত ট্রেনে ফাঁকা মহিলা কামরায় চলল...হতভম্ব যাত্রীরা

এরপরই ক্ষুব্ধ মোনোর বাপের বাড়ির লোকজন বুধবার রাতে দুষ্কৃতী নিয়ে চড়াও হয় চৈতন্যের বাড়িতে। অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীকে না পেয়ে চৈতন্যর ছোট ভাই সনাতন মণ্ডলকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। মা মতি মণ্ডলকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের বাঁচাতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদেরও মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ভোজালি দিয়ে হাতে কোপ মারে। বর্তমানে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা। এলাকায় ধুন্ধুমার বেঁধে  যায়।

আরও পড়ুন, বন্ধুর হাতে খুন যুবক, তিন দিন পর উদ্ধার হল দেহ

অভিযোগ, বুধবার রাতে ২৫ থেকে ৩০ জনের বাইক বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি, হাঁসুয়া নিয়ে চৈতন্যদের ভেস্ট পাড়ার বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। মোনোর বাবা বিকাশ মণ্ডল ও কাকা অশোক মণ্ডল দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে শেষমেশ এলাকা ছেড়ে পালায় তারা। এই ঘটনায় এলাকায় এখনও  আতঙ্কের ছায়া রয়েছে। এই ঘটনায় মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চৈতন্য মণ্ডলের মা।

.