করোনা আবহে নয়া বিপত্তি, স্থায়ী চাকরি-সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ।

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, তখন কোভিডে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, চাকরি স্থানীকরণ-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নামলেন অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। কোথাও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে, তো কোথাও আবার স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকের অফিসের সামনে চলল অবস্থান বিক্ষোভ। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও বসিরহাটে বিক্ষোভে সামিল হলেন কয়েকশো অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী।
আরও পড়ুন: বিজেপির পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চন্দ্রকোণায়
২০০৫ সাল থেকে এ রাজ্যে চালু হয় National Health Mission বা NHM প্রকল্প। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে অস্থায়ীভাবে চাকরি পান অনেকেই। ব্লকে ব্লকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর(DEO),লেডি কাউন্সিলর (LC),সেকেন্ড ANM,এমনকী, RBSK-সহ বিভিন্ন পদে কর্মরত এই NHM কর্মীরা। করোনা আবহে তাঁদের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাজের চাপও! বিক্ষোভকারীদের দাবি, যোগ্যতা ও দক্ষতায় তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের স্থায়ী কর্মীদের থেকে তাঁরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। কিন্তু স্থায়ী চাকরি তো দূর অস্থ, বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন NHM কর্মীরা। তার উপর কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালানো হোক কিংবা সেফ হোমে থাকা রোগীদের লালারস সংগ্রহ, করোনা আবহে করতে হচ্ছে সবই।
আরও পড়ুন: হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জের মাঝে 'রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু', কবে থেকে চালু হচ্ছে, জানেন?
NHM কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের স্থায়ী চাকরি দিতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের নিরিখে পুনর্বিন্যাস করতে হবে বেতন কাঠামো। সর্বোপরি করোনা আক্রান্ত হয়ে যদি কেউ মারা যান, সেক্ষেত্রে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও একজনকে চাকরিও দিতে হবে। মোট ২৫ দফা দাবিতে নিয়ে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলিতে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিক্ষোভ হয় বসিরহাটে স্বাস্থ্য জেলায়, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনেও।