বনধ প্রত্যাহার নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ মোর্চার
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড় বনধ তোলা নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে মোর্চা। একদিকে মোর্চার সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান। দুদিক ব্যালেন্স করতে শুক্রবার বৈঠকে বসছে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি। তামাং ব্রিগেড চাইছে, পাহাড়ের মানুষ ও আম কর্মীদের মন বুঝেই বনধ তোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।
টানা ৭৯ দিন বনধ। অচল পাহাড়। জট কাটাতে নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। হাজির মোর্চা, জিএনএলএফ সহ পাহাড়ের সব বড় দল। এবার? এরপর পর কী? লাখ টাকার প্রশ্ন এখন এটাই...
পাহাড়কে স্বাভাবিক করতে দরকার বনধ প্রত্যাহার। আলোচনার টেবিলে মোর্চা ব্রিগেডকে সেকথা বুঝিয়েও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তারপরও এক ইঞ্চি বদলায়নি পরিস্থিতি। উল্টে, মোর্চার সুপ্রিমোর বনধ জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়ে অডিও ক্লিপিংয়ে আরও জটিল হয়েছে। বিনয় তামাং বলছেন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত।
কোন জায়গায় মোর্চা?
মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭৫ জন। ৩০-৩৫ জন সদস্য তামাংয়ের সঙ্গে রয়েছেন। বাকিদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। মোর্চা সুপ্রিমো গুরুং অন্তরালে থাকায় মুখ হিসাবে উঠে আসছেন বিনয় তামাং। মোর্চার পক্ষে আলোচনার মুখ এখন তিনিই। কিন্তু, তামাং নিজে চরমপন্থী। পাশাপাশি, প্রতিনিধি দলে ছিলেন কার্শিয়াঙের মোর্চা নেতা অনীক থাপা। এদিন খোদ কার্শিয়াঙেও বনধের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। অর্থাত্ আলোচনাপন্থীরাও বুঝছেন, গুরুংয়ের স্ট্যান্ডে প্রভাবিত দলের কর্মী সমর্থকরা। সবদিক বুঝে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছেন তাঁরা। সাজিয়ে ফেলেছেন পরিকল্পনাও।
মোর্চা-নেতাদের কর্মসূচি-
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ফ্লাইটে বাগডোগরা ফেরা। বেলায় কার্শিয়াঙয়ে জনসভায় করবেন অনীক থাপা, বিনয় তামাং। তামাং ব্রিগেড চাইছেন মানুষের মনোভাব বুঝে ও গুরুংকে জানিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে।
মোর্চার পাশাপাশি, শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করবে জিএনএলএফ-ও।
কোনপথে জিএনএলএফ?
নবান্নের বৈঠকের দিনই জিএনএলএফ স্পষ্ট করে দেয় বনধের দায় মোর্চার। তাই তোলার সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। শুক্রবার পরবর্তী রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক করবে জিএনএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটি। ১২ সেপ্টেম্বরের সর্বদলে কী নিয়ে আলোচনা তার রূপরেখা তৈরি হবে। নীতিগত ভাবে বনধ তোলার পক্ষে হলেও, সক্রিয়ভাবে মাঠে নামতে রাজি নয় ঘিসিংয়ের দল।
অন্তরালে মোর্চা সুপ্রিমো। যোগাযোগ করা দুষ্কর। তারপর মোর্চা নেতাদের সতর্কতা থেকে স্পষ্ট গুরুংয়ের অডিওকে সামনে রেখে তামাং-গুরুংয়ের ফাটল যতই ইস্যু হোক, মোর্চার সুপ্রিমোর ছত্রছায়া থেকে এখনই বেরিয়ে আসতে রাজি নন আলোচনাপন্থীরা। আর সেই জায়গা থেকে বনধ ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা চাদর।